প্রোটিয়াদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে কুপোকাত ইংল্যান্ড

আরও একটি উইকেট, আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকার উৎসবনিজের চোখকেও বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের স্কোর কিনা ৬ উইকেটে ২০! টানা দুই ম্যাচ হেরে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে মাঠে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ইংলিশদের টুঁটি চেপে ধরেছিল একেবারে শুরুতেই।

কাগিসো রাবাদা ও ওয়েইন পারনেলের বারুদে বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্নটা তাই উঁকি মারতে থাকে ম্যাচের প্রথম ৫ ওভার থেকেই, শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের জয়ে পূর্ণতা পায় তা। কঠিন বিপর্যয়ে পড়া ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৩১.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে তবু করতে পেরেছিল ১৫৩ রান। যা ২৮.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় প্রোটিয়ারা। হারলেও সিরিজিটা আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা ২-১ ব্যবধানে।

লর্ডসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড প্রথম ওভারের শেষ বলে হারায় প্রথম উইকেট। বিপরীতে জেসন রয়কে ৪ রানে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ বানিয়ে উইকেট উৎসব শুরু করেন রাবাদা। পরের ওভারে তার সঙ্গে উৎসবে নাম লেখান পারনেল, ২ রান করা জো রুটকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে। প্রোটিয়াদের এই উইকেট উৎসব চলতেই থাকে। খানিকপর এই পারনেলই ফেরান অধিনায়ক এউইন মরগানকে (৮)। রাবাদার বিধ্বংসী বোলিংয়ে একে একে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস (১), জস বাটলার (৪) ও আদিল রশিদ (০)। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রাবাদা ৩৯ রানের নেন ৪ উইকেট। আর পারনেলের শিকার ৪৩ রানে ৩ উইকেট।

২০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন জনি বেয়ারস্টো। দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খেলেছেন ৫১ রানের চমৎকার এক ইনিংস। কেশব মহারাজের বলে আউট হওয়ার আগে ৬৭ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি ৮ বাউন্ডারিতে। সঙ্গ দিয়েছেন তাকে ২৬ রান করা ডেভিড উইলি। আর শেষদিকে টোবি রোলান্ড-জোন্স হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংস খেললে ইংলিশরা যেতে পারে ১৫৩ পর্যন্ত।

সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন আমলা ও কুইন্টন ডি কক। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৫ রান। ডি কক ৩৪ রানে আউট হলেও আমলা হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। ফাফ দু প্লেসিস (৫) অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি। তার আউটের পর জেপি দুমিনিকে (২৮*) সঙ্গে করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৭*)। ক্রিকইনফো

/কেআর/