ভারতে বিপক্ষে পাকিস্তানের শিরোপা জয়কে সংক্ষেপে এভাবে তুলে ধরলেন হাবিবুল, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালটা হয়তো বা উপযুক্ত হলো না। কিন্তু এটা আবারও বুঝিয়ে দিল ক্রিকেট কাগজে-কলমে খেলা হয় না, র্যাংকিং ও খ্যাতিও খুব বেশি কাজে লাগে না। দিন শেষে যে দল তুলনামূলক ভালো ক্রিকেট খেলে তারা সমৃদ্ধশালী হয়। পাকিস্তান ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে সেটার প্রমাণ রেখেছে।’
ফাইনালের ম্যাচসেরা পাকিস্তানি ওপেনারকে প্রশংসায় ভাসালেন সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘এবার ওভালে ফখর জামান সবার নজর কেড়েছে। টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে সে চমৎকার কিছু করে ফেলেছে। কিন্তু একটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা, তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে- এ ধরনের অনুভূতি অব্যক্ত। বিশেষ করে যখন এ ধরনের চেষ্টা দলকে জিতিয়ে দেয়।’
হাবিবুলের মতে ক্রিকেটের সব সাফল্য সবসময় দুই তিনটি দলের হাতে গেলে এ খেলা একগুয়েমি তৈরি করতে পারে। চমকে দিয়ে পাকিস্তানের এমন জয় তাই উপভোগ্য ছিল, ‘ফাইনালে পাকিস্তানের জয় বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য দারুণ ব্যাপার এবং এটা ভারতকে অশ্রদ্ধা করে বলছি না। বিরাট কোহলির দল পুরো টুর্নামেন্টে চমৎকার খেলেছিল এবং ফেভারিট হওয়ার যোগ্য তারা। কিন্তু খেলার জন্য অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল ভালো হতে পারে। শুধুমাত্র দুই বা তিনটি দল আধিপত্য করবে সেটা ভালো দেখায় না। খেলার ফল কী হতে যাচ্ছে সেটা যদি আগে থেকেই ধরে ফেলায় যায় তাহলে বিরক্ত লাগে। এজন্য নতুন নতুন বিজয়ীর আবির্ভাব হতে হবে। বিভিন্ন দলের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে। আমরা এখন এমন এক অবস্থায় আছি যেখানে শীর্ষ আট দলের যে কেউ রূপকথা তৈরি করতে পারে।’
পাকিস্তানের শিরোপা ছাড়াও বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলা এবারের প্রতিযোগিতাকে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে বিশ্বাস এবারের আইসিসির বাংলাদেশি শুভেচ্ছাদূত, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০১৭ থেকে পাওয়া অন্যতম অর্জনগুলো হলো পাকিস্তান প্রতিযোগিতা জিতল এবং বাংলাদেশ তাদের দারুণ ফর্ম দেখিয়ে উঠল সেমিফাইনালে। ক্রিকেটের জন্য এটা ছিল চমৎকার ব্যাপার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতকে নকআউটে ধরেছিল অনেকে। কিন্তু তাদের জনপ্রিয়তা ও মর্যাদা সব ধুলোয় লুটিয়ে গেল। আসলে এসব বিষয়ই আমাদের গৌরবের এ খেলাকে আনন্দদায়ক করে তুলছে।’
ফাইনাল দেখে দর্শকদের আনন্দের ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে মনে করেন হাবিবুল, ‘আমি নিশ্চিত মাঠের ও টেলিভিশন দর্শকরা ফাইনালে ডেভিড-গোলিয়াথের মতো রূপকথার লড়াইটা উপভোগ করেছে, আমিও। সবশেষে খেলোয়াড়দের মতো ভক্তরাও এ খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর সাত ঘণ্টার এ খেলা শেষে তারা যদি হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে কিংবা টিভির পর্দা ছেড়ে ওঠে তাহলেই বোঝা যায় এ খেলার ভবিষ্যত এখনও নিশ্চিত।’ সূত্র- আইসিসি
/এফএইচএম/