শনিবার ফিটনেস ক্যাম্পের শুরুতে দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে এ বিষয়ে সভা করেন মুশফিক। এরপর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
দুই পক্ষের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুশফিক। এসময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি, ‘১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলছি ১২ বছর ধরে। এখন পর্যন্ত আমার সম্পর্কে কেউ এভাবে বলেননি।’
টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে আরেকটু সম্মান আশা করা মুশফিকের গলা ধরে আসে এরপর, ‘আমি ভালো খেলি না কিংবা ভালো অধিনায়ক নই এমন কথা কেউ বলতেই পারেন। কিন্তু আমার শৃঙ্খলাবোধ কিংবা দায়িত্ববোধ নেই, আমি খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেই না, দলের হয়ে কথা বলি না, এসব শোনা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। মল্লিক ভাই ও সুজন ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন।
‘ভবিষ্যতে কোনও খেলোয়াড়কে যেন এভাবে অপবাদ পেতে না হয়। আজ আমার সঙ্গে এমন হয়েছে। কাল অন্য কারো সঙ্গেও এমন হতে পারে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে একটু শ্রদ্ধা তো আমার প্রাপ্য। দেশকে এতো বছর ধরে সার্ভিস দিয়ে, এতোটুকু সম্মান আমি চাইতেই পারি।’ কথাগুলো বলেই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মুশফিক, কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেছেন রুম থেকে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বুলসের মালিক বুলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
/আরআই/এএআর/