দ্বিতীয় দিনে বল হাতে নায়ক যদি হন ৪ উইকেট নেওয়া জোন্স, তাহলে ব্যাট হাতে ইংলিশদের নায়ক বেন স্টোকস। এই অলরাউন্ডারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর দিয়েই স্বাগতিকরা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করতে পারে ৩৫৩ রানে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস। স্টোকসের ব্যাটে পাওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বল হাতে শুরু থেকেই আগুন ঝরিয়েছেন জোন্স।
দক্ষিণ আফ্রিকার হারানো প্রথম ৪ উইকেটই রোল্যান্ড-জোন্সের। সফরকারীদের টপ অর্ডার এককথায় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই পেসার। তার উইকেট উৎসবের শুরুটা ডিন এলগারকে দিয়ে। ৮ রান করা এই ওপেনার ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্ল্যাভসে। সেই শুরু, এরপর অভিষিক্ত এই পেসার একে একে তুলে নেন হেইনো কুন (১৫), হামিশ আমলা (৬) ও কুইন্টন ডি ককের (১৭) উইকেট তিনটি। জোন্সের দাপটে ৪৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ৪ উইকেট।
জোন্সের দাপট থামলেও প্রোটিয়াদের উইকেট হারানোর মিছিল থামেনি! এরপর তাণ্ডব শুরু করেন অ্যান্ডারসন। দলের বিপর্যয়ের মুখে অধিনায়ক হিসেবে কিছুই করতে পারেননি ফাফ দু প্লেসিস। তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ১ রান। খানিক পর আবার আঘাত অ্যান্ডারসনের, এবার ফেরান ক্রিস মরিসকে (২)।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পাওয়া স্টোকসও উইকেট উৎসবে নাম তোলেন। এই অলরাউন্ডার ৫ রান করা কেশব মহারাজকে প্যাভিলিয়নে ফেরালে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কার মেঘ জমে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে। তবে সেই লজ্জার মুখে পড়তে দেননি তেম্বা বাভুমা ও কাগিসো রাবাদা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে সাবলীল ব্যাটিংয়ে রাবাদা খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। সবচেয়ে বড় কথা বিপদের সময় দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি বাভুমাকে। ব্রডের বলে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলেও বাভুমা অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে। ক্রিকইনফো
/কেআর/