অস্ট্রেলিয়া তো আরও এক কাঠি ওপরে। মরগান না এলেও গত বছর ইংল্যান্ড পূর্ণ শক্তির দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজই স্থগিত করে দেয় নিরাপত্তা শঙ্কার ‘অজুহাত’ দাঁড় করিয়ে! ২০১৫ সালের অক্টোবরে হওয়ার কথা থাকলেও সিরিজটি ঝুলেছিল প্রায় বছর দুয়েক। অনেক প্রতীক্ষা, অনেক নাটক শেষে অস্ট্রেলিয়া আসছে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কর্মকর্তাদের মনে বিন্দুমাত্র শঙ্কা নেই। কয়েক দফা নিরাপত্তার ছক সরেজমিনে দেখে তবেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দল পাঠানোর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তো বটেই, সিএ’র নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল দেখা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সঙ্গেও। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনও কিছুতে তারা ফাঁক রাখেননি। যে ভেন্যুতে খেলা কিংবা যে হোটেলে থাকবেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা, তার আশেপাশের জায়গাও ঘুরে দেখেছে সিএ’র নিরাপত্তা দল।
কয়েক দফা চেষ্টার পর অবশেষে আসছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশে তারা আসছে শঙ্কামুক্ত হয়েই। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও শঙ্কা নেই তাদের। থাকার কথাও নয় অবশ্য। গত মে মাসেই শন ক্যারল নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন এই বলে, ‘বিসিবির নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আমি খুব খুশি। আমি অবশ্যই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানাব।’
ইতিবাচক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও নিরাপত্তা প্রতিনিধিদের নিয়ে দুবার বাংলাদেশে এসেছেন ক্যারল। এখনও ঢাকাতেই আছেন তারা। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে যে সিএ’র প্রতিনিধিরা নিশ্চিত হতে চাইছেন, তা বলাই বাহুল্য।
অস্ট্রেলিয়াকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। টিম হোটেল ও ভেন্যুর আশপাশের সব জায়গায় ডিএমপি কড়া পাহারায় থাকবে। শুধু পুলিশ নয়, স্মিথের দলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যে কোনও নাশকতা মোকাবেলা করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে।
সোজা কথায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হবে স্মিথদের। নিরাপত্তা নিয়ে সামান্য শঙ্কা বা সংশয় রাখতেও রাজি নয় বাংলাদেশ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাই নির্ভার হয়েই দল পাঠাচ্ছে।
/কেআর/এএআর/