সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ তো হয়েছিলেনই, জেলও খাটতে হয়েছিল বাট ও আসিফকে। লর্ডস টেস্টে ইচ্ছাকৃত ‘নো’ বলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সঙ্গে শাস্তি পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আমিরও। এই পেসার তার শাস্তির মেয়াদ শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও শুরু করেছেন নতুন অধ্যায়। এমনকি গত বিপিএলও মাতিয়ে গেছেন আমির বল হাতে। তার পথ ধরে বাট-আসিফও এবারের আসরে থাকেন কিনা, সেটাই দেখার শনিবারের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানে।
বিপিএলের বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকায় থাকা বাট ও আসিফ দুজনই আছেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। যে ক্যাটাগরির ভিত্তি মূল্য ৪০ হাজার ডলার।
লর্ডস টেস্টের স্পট ফিক্সিংয়ে শুরুতে ১০ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সালমান বাট, পরে সেটা কমে হয় পাঁচ বছর। এ তো ছিল মাঠের শাস্তি, বাইরেরটা ছিল আরও ভয়ঙ্কর! ক্রিকেটের গায়ে কলঙ্কের কালি লাগানোয় পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের জেল হয় ৩০ মাসের। ব্রিটেনে জেল খাটা শেষে মুক্তি পান ২০১২ সালের ২১ জুন। আর নিষেধাজ্ঞা শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন ২০১৫ সালে।
আসিফের জেল হয়েছিল এক বছরের। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাত বছরের জন্য। অবশ্য দুই বছরের শাস্তি কমেছিল এই শর্তে- আইসিসিকে সহায়তা করতে হবে এবং আর কোনও অপরাধ করা যাবে না এই সময়ের মধ্যে। শাস্তির মেয়াদ শেষে আইসিসি আসিফকে অনুমতি দেয় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার। ২০১৬-১৭ মৌসুমের কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলেছেন এই পেসার।
অবশ্য বাট কিংবা আসিফ- কারোরই খেলার সুযোগ হয়নি পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পিএসএলে। ‘দেশের ক্রিকেটে’ উপেক্ষিত সেই দুই ‘ম্যাচ ফিক্সার’ আছেন ২০১৭ সালের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে।