আরও বড় ইনিংস খেলতে চাই: আশরাফুল

জাতীয় লিগের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছেন আশরাফুলনিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন গত বছরের ১৩ আগস্ট। তবে জাতীয় লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেললেও ভালো করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। দুই প্রতিযোগিতায় মাত্র দুটি হাফসেঞ্চুরি করা আশরাফুল জ্বলে উঠেছেন এবারের জাতীয় লিগের প্রথম দিনেই।

ঢাকা মেট্রোর হয়ে ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘সত্যিই খুব ভালো লাগছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর এটাই আমার প্রথম সেঞ্চুরি। গত মৌসুমে ভালো খেলতে পারিনি। তাই এই মৌসুমের শুরুতে ভালো করার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

ঠিক ১৬ বছর আগে, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বোতে ইতিহাস গড়েছিলেন আশরাফুল, সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে। রেকর্ডটা আজও অটুট। তার ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরির সর্বশেষটিও শ্রীলঙ্কার মাটিতে, ২০১৩ সালের মার্চে গল টেস্টে ১৯০ রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে আশরাফুলের সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল তার দুই মাস আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) মধ্যাঞ্চলের হয়ে তিনি খেলেছিলেন ১৩৩ রানের ইনিংস।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল। এবারের জাতীয় লিগে তার লক্ষ্য, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে চাই। সর্বোচ্চ রান করার কথা বলতে চাই না। সব ম্যাচেই চেষ্টা করবো রান করার। আরও বড় ইনিংস খেলতে চাই। অনেক দিন পর গত মৌসুমে আসল ক্রিকেটে ফিরেছিলাম। ফেরার পর থেকে একটু একটু করে উন্নতি করেছি। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারিনি।’

শুক্রবার প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ছয় ওভার আগে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। দিনশেষে অপরাজিত থাকতে না পারার আক্ষেপ তার কণ্ঠে,  ‘আরও লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল। খুব সহজেই দিনটা পার করতে পারতাম। কিন্তু দিনের শেষ দিকে আউট হয়ে গেলাম। আগামীতে এমন সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করতে চাই। আজ যে ভুল করেছি, সেটা করতে চাই না।

আশরাফুল যখন ব্যাট করতে নামেন, ৬৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ঢাকা মেট্রো তখন অস্বস্তিতে। কিছুক্ষণ পরই স্কোরটা হয়ে যায় ৭৪/৪। তবে আশরাফুল আর মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ১৭৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেট্রো। শুরুতে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চওড়া হয়েছে আশরাফুলের ব্যাট। বাংলা ট্রিবিউনকে নিজেই জানালেন সে কথা, ‘আজ শুরুতেই আমাদের কয়েকটি উইকেট পড়ে যায়। ‍শুরুতে আমাকে লড়াই করতে হয়েছিল। প্রথম ৩০ রান খুব কষ্ট করে নিতে হয়েছে। পরে অবশ্য ছন্দ ফিরে পেয়েছি, রান করতে তেমন কষ্ট হয়নি।’