‘ভুল শুধরে’ ভালো করার আশা মুশফিকের

সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমদ্বিতীয় ইনিংসে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ পচেফস্ট্রুম টেস্টে। মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেছে ৩৩৩ রানে। মিশন এবার ব্লুমফন্টেইন টেস্ট। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই টেস্টে আগের ভুলগুলো শুধরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। উইকেটের অবস্থা যাইহোক না কেন, ভালো করার আশা বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের।

পচেফস্ট্রুমের দুই ইনিংসের একটিতেও বাংলাদেশ অলআউট করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে স্বাগতিকদের মাত্র ৯ উইকেট নিতে পারে টাইগাররা। বিপরীতে দুই ইনিংসে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ৯০ রানে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে করা ভুলগুলো শুধরে দ্বিতীয় টেস্টে নামতে চান মুশফিক। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ভুল সবসময় হয় না, তবে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ভুল হয়েই যায়। যেটার কারণে আমরা প্রথম টেস্টটা বাজেভাবে হেরেছি। যদিও আমাদের আরেকটা সুযোগ আছে।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এখানকার কন্ডিশন কঠিন হলেও আমরা এখানে খেলেছি। ৮ বছর আগের ওই দলটা অবশ্য আলাদা ছিল। চেষ্টা করব ভুলগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুধরে নেওয়ার। যাতে ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ উপহার দিতে পারি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যে বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে, সেটা অনুমিতই ছিল। কিন্তু পচেফস্ট্রুম টেস্টের উইকেটের চরিত্র যেমন ছিল, সেখানে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আবার। তাতে দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারীদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। মুশফিক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। আপনি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসবেন, তখন চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। ভেবেছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকার হোম কন্ডিশনে যে রকম উইকেট হয়, সে রকম উইকেটই পাবো।’

যদিও চিন্তার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন যেমন, তেমনি আবার দেশের মাটির মতো উইকেট পেয়ে ঠিকঠাক কাজ না লাগানোর যন্ত্রণাও আছে মুশফিকের মনে। পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক এভাবে, ‘প্রথম টেস্টে যে উইকেটটা পেয়েছি, সেটা আমাদের কন্ডিশনের মতোই ছিল। কিন্তু আমরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি এবং ভালো খেলতে পারিনি।’

অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে উইকেট যদি কঠিনও হয়, সেখানেও নিজেদের লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে রাখলেন তিনি, ‘তার মানে আবার এটা না যে আমরা ওদের হোম কন্ডিশনে যে ধরনের কঠিন উইকেট হয়, সেখানে ভালো খেলতে পারব না।’ সঙ্গে ভালো খেলার প্রত্যাশায় ঝরল মুশফিকের কণ্ঠে, ‘সবাই প্রত্যাশা করেছিল আমরা প্রথম টেস্টে ভালো করব, দুর্ভাগ্যবশত সেটা পারিনি। এখন আমাদের আশা থাকবে ভালো করার।’