শুরুর দিকে কর্নেলিয়াস দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করে আবাহনী লিমিটেডকে এগিয়ে নিতে পারেননি। এনিয়ে পরবর্তীতে আফসোসও করতে হয়েছে। তবে বসুন্ধরা কিংস আর ভুল করেনি। দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপে আবার ফাইনালে অস্কার ব্রুজনের দল।
প্রথমার্ধে রবিনিয়ো ও বিরতির পর দোরিয়েলতন লক্ষ্যভেদ করে আবাহনীকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেন। আর ইব্রাহিমের অন্য গোলে রবিনিয়োর ছিল দারুণ অ্যাসিস্ট। ২২ মে ফাইনালে ময়মনসিংহের মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে ট্রেবল জয়ের জন্য মাঠে নামবে কিংস।
এমন হারে আবাহনীকে এই মৌসুমেও ট্রফি ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। স্বাধীনতা কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের পর ফেডারেশন কাপেও কিছু করে দেখাতে পারেনি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জে শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে বিরতি দিয়ে আবাহনীর একাদশে ফিরেছেন জামাল ভূঁইয়া। তবে ফিরেও দলকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি। লিগে যেভাবে কিংসের বিপক্ষে আবাহনী খেলেছিল আজ সেটা দেখা যায়নি।
তারপরও প্রথমার্ধে ভালোই লড়াই হয়েছে। শুরুর ৭ মিনিটে আবাহনী এগিয়ে যেতে পারতো। ওয়াশিংটন বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে উঠে দারুণ এক ক্রস দেন, কিন্তু ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে বক্সে ঢুকে একদম ফাঁকায় গোলকিপারকে একা পেয়েও কর্নেলিয়াস বিস্ময়করভাবে দূরের পোস্ট দিয়ে মেরে দলকে গোল বঞ্চিত করেন।
১৫ মিনিটে কিংস সুযোগ পায়। রাকিব হোসেনের জোরালো শট গোলকিপার সোহেল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় হাত দিয়ে আবার প্রতিহত করার চেষ্টা, তবে সামনে থাকা মোরসালিনের পায়ে লেগে বাইরে চলে গেলে বেঁচে যায় আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।
দুই মিনিট পর জামালের ক্রসে মিলাদের হেড পোস্টে বাইরে দিয়ে যায়। ২২ মিনিটে কিংস এগিয়ে যায়। মিগেলের থ্রু পাসে রাকিব ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন রবিনিয়োকে, গা ঘেষে থাকা রহমত মিয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে আটকাতে পারেননি, দুই ডিফেন্ডার ও ঠিক পেছনে থাকা গোলকিপারের মাঝ দিয়ে সোজা জালে জড়িয়েছেন অনায়াসে। কঠিন বলতে গেলে দুরূহ অবস্থা থেকে দারুণ গোল করে নিজের জাত আবার চিনিয়েছেন এই মুহূর্তে দেশের ফুটবলের তারকা বিদেশি ফুটবলার।
ঠিক এরপরই রহমতকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের আধিপত্য বেশি। আবাহনী পারছিল না তেড়েফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে। ৫৬ মিনিটে রিমন হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে পা ছোঁয়াতে গোলমুখে ছুটে গেলেও বলের গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি মিগেল।
৬০ মিনিটে জামালকে তুলে রহিম উদ্দিনকে নামান আবাহনী কোচ ক্রুসিয়ানি। কিন্তু আকাশি-নীলদের খেলায় ফেরেনি ধার। বরং ৭১ মিনিটে আবাহনী ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়, রাকিবের আড়াআড়ি ক্রসে দোরিয়েলতন হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বক্সের একটু আগে থেকে রবিনিয়োর ফ্রি কিক গোলকিপার সোহেল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল পোস্টে লেগে সামনে চলে আসে। দৌড়ে এসে বদলি ইব্রাহিম ফাঁকায় জাল কাঁপাতে ভুল করেননি।
তিন গোলেই সর্বনাশ আবাহনীর!