‘ঘৃণা’ দিয়ে ইংল্যান্ডকে ভোগাতে চান ওয়ার্নার

ডেভিড ওয়ার্নারযুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, যেখানে অস্ত্র হবে কেবলই ‘ঘৃণা’। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার।

ওয়ার্নারের মতে, চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল বাকযুদ্ধ। এবারও সেই উত্তাপ ধরে রেখে সফল হওয়ার আভাস দিয়ে রাখলেন সহঅধিনায়ক।

ক্যারিয়ারের শুরুতে যতটা মাথা গরম ছিল, এখন তেমনটা নেই ওয়ার্নারের। আশেপাশের লোকজন সেটাই বলে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই পুরানো মেজাজে ফিরতে চান অসি ওপেনার। তার মতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সফল হওয়ার সেটাই কার্যকরী উপায়। ২০১৩ সালে প্রথম টেস্ট থেকে অগ্নিশর্মা রূপে দেখা গেছে অসিদের। গ্যাবা টেস্টে মিচেল জনসনের আগুন বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওয়ার্নার বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের চোখে ভয় দেখতে পাচ্ছেন তিনি। যেটা আর কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল না অতিথিরা। হেরে গিয়েছিল ৫-০ তে।

অবশ্য ২০১৫ সালে সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডে গিয়ে সেই শিরোপা হাতছাড়া করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেটা ফিরিয়ে নেওয়ার পালা তাদের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হতে এখনও এক মাসের বেশি সময় হাতে, তবে যুদ্ধের ডাক আগেই দিলেন ওয়ার্নার। এবিসি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডকে এক সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিহাস ও গর্ব হচ্ছে বাজি। যখনই মাঠে নামবেন, তখন থেকেই এটা যুদ্ধ। এখানে যে কেউ অংশ নিতে চাইবে। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে তাদের খেলোয়াড়দের কতটা ঘৃণা করা যায় এবং তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায় সেই চেষ্টা করি আমি। তাদেরকে পেছনে ফেলতে হলে এমন স্ফুলিঙ্গ থাকতেই হবে।’

ইংল্যান্ডকে আরও ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করলেন ওয়ার্নার। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, নাথান কোল্টার-নাইল ও জ্যাকসন বার্ডের অদম্য পেস নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যখন নেটে ব্যাট করি তখন আমি খুব ভয়ে থাকি। আশা করি তারাও (ইংল্যান্ড) ভয়ে থাকবে, কারণ আমাদের ছেলেদের মুখোমুখি হওয়া হবে চ্যালেঞ্জিং।’ আগামী ২৩ নভেম্বর শুরু হবে এই ‘যুদ্ধ’। ক্রিকইনফো