বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের জয়

সেঞ্চুরির পর বাবর আজমশ্রীলঙ্কান বোলারদের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হলো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল বাবর আজম। চমৎকার ব্যাটিংয়ে আরও একবার রক্ষা করলেন তিনি পাকিস্তানকে। আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যখন ধুঁকছে সরফরাজ আহমেদরা, সেই সময় কার্যকরী সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে দিলেন ৯ উইকেটে ২১৯ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি।

ওই রানটাই শ্রীলঙ্কার জন্য হয়ে পড়ল কঠিন। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে আত্মসমর্পণ করে ৪৮ ওভারে অলআউট হয়ে যায় তারা ১৮৭ রানে। তাতে ৩২ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

লাহিরু গামাগের বোলিং তোপে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওই জায়গা থেকে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে পথ দেখান বাবর। লঙ্কানদের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি (১০৩) পেয়েছিলেন তিনি, এবার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূরণ করে তিনি খেলেছেন ১০১ রানের ইনিংস। ১৩৩ বলের ইনিংসটি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছিলেন ৬ বাউন্ডারিতে।

তার কার্যকর এই ইনিংসের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শাদাব খান, হার না মানা ৫২ রানের ইনিংস খেলে। তাদের ব্যাটে ভর করেই ‘স্বাগতিকদের’ স্কোর দাঁড়ায় ২১৯। গামাগে ৫৭ রান দিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট।

ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন শাদাব। তার কার্যকরী স্পিনের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্য বোলাররাও আলো ছড়ালে সুবিধা করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। এক উপুল থারাঙ্গা ছাড়া সবাই ব্যর্থ। লঙ্কান অধিনায়ক ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১২ রান করে। অসাধারণ এই সেঞ্চুরিটা অবশ্য বৃথা গেছে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। সফরকারীদের মাত্র তিন ব্যাটসম্যান- লাথিরু থিরিমানে (১২), কুশল মেন্ডিস (১০) ও জেফরি ভ্যান্ডাসে (২২) পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে।

ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৪৭ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন শাদাব। ক্রিকইনফো