মুশফিকের হাফসেঞ্চুরির পর ইমরুল আউট

ইমরুল কায়েসদাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলের স্কোর। ব্যক্তিগত রানের সঙ্গে দলীয় স্কোর বাড়িয়ে নেওয়া এই ওপেনার অবশেষে থামলেন ৬৮ রানে। তার আউটের ঠিক আগেই আবার হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ইমরুলের আউটের পর বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১৬৩ রান। 

কিম্বার্লির পর পার্লেতেও হাসলো না লিটন দাসের ব্যাট। প্রথম ওয়ানডেতে ২১ রান করা লিটন বুধবারের ম্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ১৪ রান করে। আন্দিলে ফেহলুকাওয়ের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে বিপদ বাড়িয়ে গেছেন তিনি বাংলাদেশের। 

লক্ষ্যটা কঠিন, দরকার ছিল তাই ভালো শুরুর। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটাও হলো ভালো। কিন্তু জুটিটা এগোতে পারেনি বেশিদূর। তামিমের আউটে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। 

চোটের কারণে তামিম খেলতে পারেননি প্রথম ওয়ানডে। বাংলাদেশও ম্যাচটি হেরেছে বাজেভাবে। পার্লের দ্বিতীয় ম্যাচে আবার দক্ষিণ আফ্রিকা বড় স্কোর গড়লে তার কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশি ভক্তদের। ভালো শুরুতে প্রত্যাশা পূরণের ইঙ্গিত দিলেও পারলেন না বাঁহাতি ওপেনার। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২৫ বলে ২৩ রান করে।

এর আগে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর প্রথমবার ওয়ানডেতে নামেন ডি ভিলিয়ার্স। নেমেই ঝড় তুললেন ২২ গজে। যে ঝড়ে সেঞ্চুরি পূরণ করে ডি ভিলিয়ার্স খেললেন ১৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার এই ইনিংসটির সঙ্গে হাশিম আমলার হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা স্কোরে জমা করেছে ৩৫৩ রান। 

ফাফ দু প্লেসি আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন ডি ভিলিয়ার্স। নেমেই ঝড় তোলেন ব্যাটে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি পূরণ করে ১০৪ বলে করেছেন ১৭৬ রান। ১৫ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছাড়ায় সাড়ে তিন শ। তার সঙ্গে আবারও চমৎকার ইনিংস খেলেছেন আমলা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পার্লের দ্বিতীয় ওয়ানডেও জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। যদিও ৮৫ রানে থামে তার ইনিংস।