হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ৩৭০

মিরাজের উইকেট উদযাপনআবারও বোলারদের ব্যর্থতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাশরাফি মুর্তজারা বল হাতে ভালো কিছু করতে পারলেন না শেষ ওয়ানডেতেও। অবশ্য ডেথ ওভারে আবারও সাফল্য পেয়েছে তারা। ৪৬ ও ৪৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। কিন্তু ১০০ ছাড়ানো দুটি শক্ত জুটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডের চেয়েও সমৃদ্ধ হয়েছে প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ড। রবিবার বাফেলো পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করেছে স্বাগতিকরা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৭০ রান।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান ছিলেন হাশিম আমলা। শেষ ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রেখেও দক্ষিণ আফ্রিকা কোনও সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে এদিন উদ্বোধনী জুটিতে নামেন তেম্বা বাভুমা। হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ থেকে গেলেও তিনি আউট হওয়ার আগে শক্ত জুটি গড়েন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন বাভুমা। ৪৮ রানে আউট হন তিনি। তবে ১১৯ রানের ওই জুটি শক্ত ভিত গড়ে দিয়ে যায়।

মারক্রামের হাফসেঞ্চুরি উদযাপনবাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছে তাড়াতাড়ি। ১৫তম ফিফটি পাওয়া ডি কক ৬৮ বলে ৭৩ রান করে ফিরতি বলে মিরাজকে ক্যাচ তুলে দেন। তারপর আবার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দাপট। ফাফ দু প্লেসি ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হওয়া এইডেন মারক্রামকে সঙ্গে করে বিশাল জুটি গড়ার পথে ছিলেন। কিন্তু পিঠে চোট নিয়ে স্বাগতিক অধিনায়ক মাঠ ছাড়ায় ওই জুটি ১৫১ রানের বেশি হয়নি।

৬৭ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৯১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন দু প্লেসি। চিকিৎসকদের সহায়তায় মাঠ থেকে তিনি বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর মারক্রাম থামেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান রান আউট হন ৬৬ রান করে।

দু প্লেসি চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ছেনমারক্রামের অন্তর্ভুক্তিকে এক ধাপ নিচে নেমে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করা এবি ডি ভিলিয়ার্স এদিন স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন না। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭৬ রান করা এই ব্যাটসম্যান ২০ রানে মাশরাফির দুর্দান্ত ক্যাচ হন। ৪৬তম ওভারে তাকে ফেরান রুবেল। পরের ওভারে তাসকিনের জোড়া আঘাত। নবাগত উইলেম মুলডারকে (২) এলবিডাব্লিউ করেন ডানহাতি পেসার। কয়েক বল পর অ্যান্ডিল ফেলুকোয়াইয়োকে (৫) মুশফিকের ক্যাচ বানান তাসকিন।

দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের রানের লাগাম টেনে ধরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু ফারহান বেহারডিয়েন ও কাগিসো রাবাদার ঝড়ো ব্যাটিং গত ম্যাচের চেয়েও বেশি রান এনে দেয় স্বাগতিকদের। ২৪ বলে চারটি চারে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন বেহারডিয়েন। ৩ চার ও ১ ছয়ে ১১ বলে ২৩ রানে খেলছিলেন রাবাদা।

মিরাজ ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের সফল বোলার।