বাফেলো পার্কে রবিবার বাংলাদেশ সান্ত্বনার খোঁজে নেমেছিল। কিন্তু টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলতে পারেনি সফরকারী বোলাররা। বরং ১০০ ছাড়ানো দুটি শক্ত জুটিতে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করে প্রোটিয়ারা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট পায় কিছুক্ষণ পরই। ১৫তম ফিফটি পাওয়া ডি কক ৬৮ বলে ৭৩ রান করে ফিরতি বলে মিরাজকে ক্যাচ তুলে দেন। তারপর আবার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দাপট। ফাফ দু প্লেসি ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হওয়া এইডেন মারক্রামকে সঙ্গে করে ১৫১ রানের বড় জুটি গড়েন। কিন্তু পিঠে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দু প্লেসি। ৬৭ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৯১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন স্বাগতিক অধিনায়ক। ওই ওভারেই ৬৬ রানে আউট হন মারক্রাম।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭৬ রান করা এবি ডি ভিলিয়ার্স এদিন মাত্র ২০ রানে মাশরাফির দুর্দান্ত ক্যাচ হন। ৪৬তম ওভারে তাকে ফেরান রুবেল। পরের ওভারে তাসকিনের জোড়া আঘাত। নবাগত উইলেম মুলডার (২) ও অ্যান্ডিল ফেলুকোয়াইয়োকে (৫) মুশফিকের ক্যাচ বানান তিনি।
মিরাজ ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের সফল বোলার।
৩৭০ রানের বড় টার্গেটে নেমে ৬১ রানেই বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। আগের দুই ম্যাচের সেরা পারফর্মার ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। বরং বাফেলো পার্কে অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে সাকিব আল হাসান ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি।
শুরুতেই ডেন প্যাটারসনের তোপে ইমরুল (১), লিটন দাস (৬) ও সৌম্য সরকারকে (৮) হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। ২০ রানে তারা তিনজন ফেরেন সাজঘরে। এরপর ক্রিজে নেমে সাকিবের সঙ্গে মুশফিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে দ্রুত ফিরিয়ে আবারও সফরকারীদের চাপে ফেলে প্রোটিয়ারা।
এরপর সাব্বিরকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। ৬৩ বলে ৬ চারে হাফসেঞ্চুরি পান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। তবে তাকে থামতে হয় ৬৩ রানে। ইমরান তাহিরের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে জোরালো শট নিয়েছিলেন সাকিব, কিন্তু মিডউইকেট থেকে পেছনে দৌড়ে এসেও ক্যাচ নিতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স। তবে পরের ওভারেই এইডেন মারক্রামের প্রথম বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে বদলি ফিল্ডার জেপি দুমিনির হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ওই ওভারেই সাব্বির ৩৯ রানে ক্যাচ তুলে দেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের হাতে।
১৩৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ব্যবধান কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন মাশরাফি মুর্তজা ও মিরাজ। কিন্তু তাদের ২৮ রানের জুটি ভেঙে দেন প্যাটারসন। মাশরাফি ১৭ রানে ডি ককের গ্লাভসে ধরা পড়েন। ৪১তম ওভারে তাসকিন (২) ও মিরাজকে (১৫) আউট করে গুটিয়ে দেন ইমরান তাহির।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন প্যাটারসন। দুটি করে পেয়েছেন মারক্রাম ও তাহির।