উসমানের তোপে হোয়াইটওয়াশ শ্রীলঙ্কা

দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডোবান উসমানশ্রীলঙ্কার জন্য শারজাকে অভিশপ্ত মাঠ বললে ভুল হবে না। এই মাঠে চারবার ১০০’র নিচে গুটিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। সোমবার উসমান খানের তোপে পড়ে পঞ্চমবারের মতো ওই লজ্জায় পড়তে গিয়েছিল লঙ্কানরা। এক পর্যায়ে ৮৫ রানে তারা হারায় ৯ উইকেট। দুষ্মন্ত চামিরা ও বিশ্ব ফার্নান্দো ১৮ রানের জুটি গড়ে সেটা হতে দেননি। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৯ উইকেটে জিতে ওয়ানডে সিরিজ ৫-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ করেছে পাকিস্তান।

উসমানের পেসে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা ২৬.২ ওভারে অলআউট হয় ১০৩ রানে। মাত্র ২০.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান করে পাকিস্তান।

ফাহিম আশরাফের শিকার থিসারা পেরেরাটানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতেছিলেন উপুল থারাঙ্গা, নিলেন ব্যাট। কিন্তু ভাগ্য যে বদলাচ্ছে না, প্রমাণ পাওয়া গেছে ইনিংসের প্রথম ওভারে। উসমান তার টানা দুই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। প্রথম ১২ বলেই চার উইকেট নেওয়া এই বাঁহাতি পেসার তার পঞ্চম উইকেটটি পান ৩.৩ ওভারে। তার ২১ বলেই বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

মাত্র ২০ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে পরের জুটিতেই লাহিরু থিরিমান্নে ও সেক্কুগে প্রসন্নর ২৯ রান ছিল সর্বোচ্চ। শ্রীলঙ্কা তাদের শেষ ৫ উইকেট হারায় ৫৪ রানের ব্যবধানে। থিসারা পেরেরা সবচেয়ে বেশি ২৫ রান করেন। থিরিমান্নে ১৯ ও সেক্কুগে ১৬ রান করেন। লঙ্কানদের শেষ ৫ উইকেটের চারটির দুটি করে পেয়েছেন হাসান আলী ও শাদাব খান। উসমান তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন, ৭ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।

দলকে জেতানোর পথে ইমাম-উল-হকের একটি শটমাত্র ১০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান পায় পাকিস্তান। ফখর জামান ৪৮ রানে আউট হন। ইমাম-উল-হক ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নেন। অন্য প্রান্তে ৫ রানে খেলছিলেন ফাহিম আশরাফ।