ম্যাচসেরা হয়েও হতাশ ডি ভিলিয়ার্স

ডি ভিলিয়ার্সযতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শাসন করেছেন বাংলাদেশের বোলারদের। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে খেলে যান ঝোড়ো ৪৯ রানের ইনিংস। ব্লুমফন্টেইনের প্রথম টি-টোয়েন্টি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে নেওয়ার পর ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবু নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি নন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান! ভালো শুরুর পরও ইনিংস লম্বা করতে না পারার হতাশা ম্যাচ শেষে জানিয়েও গেছেন তিনি পুরস্কার বিতরণী পর্বে।

ফাফ দু প্লেসি না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে এসেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। হাশিম আমলা আউট হওয়ার পর ওয়ান ডাউনে নেমে শুরু করেন তাণ্ডব। ১৮১ স্ট্রাইক রেটে ৪৯ রান করেও নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক। আসলে ব্লুমফন্টেইনের টি-টোয়েন্টিতে ‘৭০ ছাড়ানো ইনিংস’ খেলতে না পারার আক্ষেপ তার।

আমলা দ্রুত আউট হলে শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নামা ডি ভিলিয়ার্সের বক্তব্য, ‘শুরুর দিকে ব্যাটিংয়ে আসার সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো আপনি নিজের মতো করে একটা ভিত গড়তে পারেন, যার ওপর দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়, যেটা এবার আমি করতে পারিনি। এজন্য হতাশ।’

৮ বাউন্ডারিতে সাজানো ডি ভিলিয়ার্সের ঝোড়ো ইনিংসটাই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্রুত রান তোলার কারণ ব্যাখ্যায় ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান জানিয়েছেন, ব্যাটিং পজিশনে উপরে উঠে আসার সুবিধাটা নিতে পেরেছেন তিনি।

ব্লুমফন্টেইনের ম্যাচের তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার সুবিধা নিয়ে ‘এবি’ বলেছেন, ‘এটা (ব্যাটিং পজিশনের উন্নতি) আমাকে কাজে দিয়েছে, বিশেষ করে প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ক্রিজে আসতে পেরে। মাঠে আসার পর কুইনি (কুইন্টন ডি কক) আমাকে বলেছিল, বল কিছুটা জোরে আসছে, আর উইকেটে বেশ বাউন্সও আছে, যে বিষয়টা আসলে আমরা উপভোগ করেছি।’