গত আসরে খুলনার সঙ্গে ছিলেন মোশাররফ। এবারও এই দলটির সঙ্গে খেলবেন তিনি। সোমবার মিরপুরের একাডেমিতে খুলনার অনুশীলনের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিপিএলের চার আসরে খেলা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার, ‘আশা করি, এবার মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি হবে। কারণ বিদেশি খেলোয়াড় বেশি আসছে। সবার মনোযোগ বিপিএলের দিকে থাকবে। দেশি খেলোয়াড়দেরও অনেক বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ তাদেরকে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যান ও বোলারদের মুখোমুখি হতে হবে। আমি মনে করি পারফরম্যান্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হবে।’
একাদশে বিদেশি বেশি থাকার কারণে দেশিদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তার বিশ্বাস দেশিরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে, ‘বিদেশি বেশি থাকায় একটা জায়গা তো অবশ্যই কমে গেলো (দেশি ক্রিকেটারদের জন্য)। তবে যারা পারফর্ম করবে, তারা কিন্তু ঠিকই উঠে আসবে। আগেও কিন্তু পাঁচজন বিদেশি খেলেছে (প্রথম আসরে)। তখনও দেশি ক্রিকেটাররা ভালো খেলেছে। একটা জায়গা এবার স্থানীয়দের জন্য কম। তবে যারা পারফর্ম করবে তাদের জন্য ভবিষ্যত ভালো হবে।’
গত চারদিন ধরে খুলনা অনুশীলন করছে। মিরপুরের একাডেমিতে চলছে দুইদিনের মতো অনুশীলন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার চলে এসেছেন বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে অনুশীলনটা বেশ ভালোই হয়েছে খুলনার শিবিরে, ‘কয়েকদিন অনুশীলন করলাম আমরা। বাইরের খেলোয়াড়রা এসেছে। সবাই খুব উপভোগ করছে। আমার মনে হয় কয়েকদিন অনুশীলন করলে দলের সবার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে, দলের বোঝাপড়া ভালো হবে।’
সাদামাটা দল নিয়ে গত আসরে খুলনা নকআউট পর্ব খেলেছিল। এবারের আসরে তাদের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা, ‘প্রথমত আমাদের লক্ষ্য হলো শেষ চার নিশ্চিত করা। এরপর ফাইনালে খেলা। তবে শুরুটা ভালো করতে হবে। তাহলে এগিয়ে যাব আমরা। ভালো ক্রিকেট খেলার দাবিদার আমরা।’
২০ ওভারের ক্রিকেটে লোয়ার অর্ডারে খুব একটা রান করার সুযোগ থাকে না। তারপরও মোশাররফ এবার ব্যাট হাতে কিছু করে দেখাতে চান, ‘একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করার তো ইচ্ছে থাকেই। বিপিএল ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট। এখানে যারা এক-দুই বা তিনে ব্যাটিং করে, তারা সময় বেশি পায়। বিপিএলে আমি সাধারণত নিচের দিকে খেলি, যেখানে রান করার সুযোগ খুব কমই থাকে। আমি যতটা সম্ভব অবদান রাখার চেষ্টা করি। সেটা ১০ বা ১৫ রানও হতে পারে। কারণ ওইখানে তো আর ফিফটি করা যাবে না।’