৭ রানেই আউট হয়ে যেতে পারতেন গেইল। সুনিল নারিনের বল ব্যাটের কানায় লেগে বাতাসে ভাসতে ভাসতে যায় শর্ট থার্ডম্যানে থাকা আবু হায়দার রনির কাছে। যদিও সহজ ক্যাচটা বের হয়ে যায় তার হাত ফসকে। দ্বিতীয় ‘জীবন’ পেয়ে গেইল হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। শেষ পর্যন্ত ওই আবু হায়দারের হাতে ধরা পড়ার আগে গেইল খেলে যান ২৮ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পান টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।
গেইলের ইনিংস বাদ দিলে রংপুরের আর কোনও ব্যাটসম্যানই পারেননি সুবিধা করতে। সাকিব ৫ উইকেট তুলে নিলে ১ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় মাশরাফিরা। ইনিংসের শেষ ওভারে উইকেট উৎসবে মাতা সাকিবের প্রথম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন রবি বোপারা (১২)। পরের বলে এই অলরাউন্ডার ফেরান জিয়াউর রহমানকে (৪)। তৃতীয় বলে ১ রান দেওয়ার পর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পান সোহাগ গাজী (০) ও রুবেল হোসেনের (০) উইকেট। এর আগে মোহাম্মদ মিথুন (২২) ও শাহরিয়ার নাফীসের (৯) ফিরিয়ে সবমিলিয়ে ৩.৫ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় সাকিবের শিকার ৫ উইকেট।
সাকিবের আগে ঢাকার উইকেট উৎসবের শুরুটা করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে বোল্ড করে ফেরান ৬ রানে। এই অলরাউন্ডারের দ্বিতীয় শিকার মাশরাফি (১৫)।