বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসের কঠোর অনুশীলন সেশনটি এভাবেই হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুশীলন সূচি থাকলে টিম টাইটানস ৮টার পরপরই মাঠে উপস্থিত। উদ্দেশ্য একটি ঘণ্টা বেশি সময় কাটানো। কেননা সকাল ১১টার মধ্যে আরও দুটি দল অনুশীলন করবে। সেক্ষেত্রে বাড়তি একটু অনুশীলন করতেই আগেভাগে অনুশীলন মাঠে মাহমুদউল্লাহরা।
শুক্রবার টুর্নামেন্টের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে খুলনা। মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা যে দলে ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান আছেন। যারা কিনা একাই ম্যাচের চিত্রনাট্য পাল্টে দিতে পারেন। এমন একটি দলের বিপক্ষে লড়তে গেলে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে বোলারদের। বোলারদের পারফরম্যান্সের উপরই নির্ভর করবে ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটুকু চ্যালেঞ্জ।
শুধু কি কোচের লড়াই, খুলনার ব্যাটসম্যান ও বোলারররাও একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়ে মেতেছেন। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে বোলিং করছিলেন মোশাররফ হোসেন। প্রথম বলেই বাউন্ডারি ছাড়া করে নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন একে অপরের। পরের ৬ বলের চ্যালেঞ্জে জিতেছেন ব্র্যাথওয়েটই। চারবার তিনি সজোরে মেরেছেন। ম্যাচে এই চারটি শট নিশ্চিতভাবেই গ্যালারিতে গিয়ে পড়বে।
শুধু যে কঠোর অনুশীলন করেই সময় কাটিয়েছে খুলনা টাইটানস, এমনটা নয়। পুরো সময়টা উপভোগ করেছেন ক্রিকেটাররা। মাহমুদউল্লাহ তো সারাক্ষণই নানাভাবে সতীর্থদের সঙ্গে মজা করে কাটিয়েছেন। নাজমুল হোসেন তার পাশের নেটে জোফরা আর্চারকে জোরালো শটে গ্যালারি ছাড়া করেছিলেন। তাতে পাশের নেট থেকে মাহমুদউল্লাহ সঙ্গে সঙ্গেই বলেছেন, ‘এখন মেরে লাভ নেই, ম্যাচে মারলেই হবে।’ একগাল হেসে নাজমুলের উত্তর, ‘হুম ভাই, কাল হবে।’
ঢাকার প্রথম পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামে পা রেখেছে খুলনা টাইটানস। বন্দরনগরীতে তিনটি ম্যাচ খেলবে গত আসরে তৃতীয় হওয়া খুলনা। এরমধ্যে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচেই শুক্রবার জহুর আহমেদের ২২ গজে মাঠে নামতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে। টানা দুই ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাসের রসদ নিয়ে মাঠে নামার আগের দিন তাই কঠোর অনুশীলনে ঘাম ঝরালেন ক্রিকেটাররা। উদ্দেশ্য, চট্টগ্রামে জয় দিয়ে শুরু করা। কাল দিন শেষেই বোঝা যাবে গেইল-ম্যাককালামদের বিপক্ষে এই কঠোর অনুশীলন খুলনার জন্য কতটা কাজে দিলো!