এই লড়াইয়ে জয়ী দল আগামী মঙ্গলবারের ফাইনালের টিকিট কাটবে। অন্য দলটিরও সুযোগ থাকবে শিরোপার লড়াইয়ে ওঠার। আগামী রবিবার তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে এলিমিনেটর জয়ী দলের বিপক্ষে। যদিও কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দ্বিতীয় সুযোগ নিয়ে ভাবছেন না, ‘আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না। আমরা ভাবছি আমাদের আরেকটা ম্যাচ আছে। ওটা আমরা কীভাবে ভালোভাবে খেলতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। এই ম্যাচ হারলে আমরা বাদ পড়ে যাবো, এমনটা ভেবেই মাঠে নামবো।’
দুটি দলই টুর্নামেন্টের শুরুটা বাজেভাবেই করেছিল। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এবারের আসরে সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছে কুমিল্লা। স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল ১২ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে।
দলটির বিদেশি সব খেলোয়াড়ই পারফর্ম করছে ধারাবাহিকভাবে। দেশিরাও কম যাচ্ছে না। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে টপ অর্ডারে দারুণ খেলছেন ইমরুল-সাইফউদ্দিনরা। মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিক, মারলন স্যামুয়েলস, ডোয়াইন ব্রাভোরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে।
কুমিল্লা শক্তিশালী দল হলেও পিছিয়ে নেই ঢাকা। ক্যারিবিয়ান তারকা এভিন লুইস প্রায় প্রতি ম্যাচেই শুরুতে ঝড় তুলে দিচ্ছেন। এছাড়া কিয়েরন পোলার্ডও আছেন দারুন ছন্দে। দুই তরুণ বিদেশি জো ডেনলি ও ক্যামেরুন ডেলপোর্ট খেলছেন দুর্দান্ত। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে না পারলেও বল হাতে দারুণ আফ্রিদি।
তবে স্থানীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বল হাতে আবু হায়দার রনি ছাড়া কেউ ধারাবাহিক নন। যদিও শেষ ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ব্যাট ও বল হাতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলটির মূল সমস্যা ধারাবাহিকতায়। কোচ খালেদ মাহমুদ বিষয়টি জানেন। এই কারণে নিজেদের ওপর চাপ কমাতে কুমিল্লার বিপক্ষে দলকে আন্ডারডগ হিসেবে দেখছেন। কারণও অবশ্য আছে, কুমিল্লার বিপক্ষে দুটি ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে ঢাকা। তাইতো সবমিলিয়ে নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে দেখার যথেষ্ট কারন দেখছেন ঢাকা কোচ, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কাল (শুক্রবার) আমরা আন্ডারডগ হিসেবে খেলব। কুমিল্লা আমাদের সঙ্গে দুইটা ম্যাচই জিতেছে। দারুণ খেলছে। আমরাও ভালো খেলছি, তবে আমাদের ধারাবাহিকতার একটু অভাব ছিল।’