গেইল-ম্যাককালামদের দিনে কিছুই করার থাকে না: সাকিব

ম্যাককাল ও গেইলের দুইশ ছাড়ানো জুটিতে রানের পাহাড় গড়ে রংপুরখুলনা টাইটানসকে হারানোর দিনে ক্রিস গেইল খেলেছিলেন ১২৬ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস। ম্যাচ শেষে যথারীতি খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে উঠে এসেছিল গেইলের দিনে অসহায়ত্বের কথা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাদ পড়ার দিনে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও জনসন চালর্সের ১৫১ রানের জুটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেদিনও কুমিল্লার অধিনায়ক তামিম ইকবাল হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন, তাদের দিনে বোলারদের কিছুই করার ছিল না। মঙ্গলবারও চললো ‘গেইল শো’, যার পার্শ্বচরিত্র ম্যাককালাম। দুজনের ২০১ রানের জুটি, আর গেইলের অপরাজিত ১৪৬ রান। শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বললেন- যে দিন গেইল ও ম্যাককালামের, সেই দিন কিছুই করার থাকে না প্রতিপক্ষ দলের।

ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত সাকিব হারের পেছনে গেইল-ম্যাককালামদের অনবদ্য ইনিংসকেই কারণ বললেন, ‘একটা ম্যাচ দিয়ে একটা দলকে বিচার করা ঠিক হবে না। এই টুর্নামেন্টে আমরা ও কুমিল্লা খুবই ধারাবাহিক ছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওরা (গেইল-ম্যাককালাম-চার্লস) তিন ম্যাচ জিতিয়ে দিলো। এভাবে খেলে দিলে টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের করার কিছু থাকে না। টি-টোয়েন্টির মজাই এটা, এক দুইজন ব্যাটসম্যান খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

তবে ম্যাককালাম-গেইলের ইনিংসের পাশাপাশি নিজেদের বোলিং ও ফিল্ডিংকে দুষলেন সাকিব। বিশেষ করে ২২ রানে গেইলের ক্যাচ ফেলে দেওয়াটা আলাদা করলেন তিনি, ‘আমি ক্যাচ ধরতে পারিনি। বোলিংটাও ভালো করতে পারিনি। বিশেষ করে গেইলের বিরুদ্ধে আমরা ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারিনি।’

১৬০-১৭০ রান লক্ষ্য হলে জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মনে করেন সাকিব। সেটা সম্ভব হতো যদি গেইল ২২ রানে নতুন জীবন না পেতেন। এক জীবন  পেয়েই গেইল তুলে নেন বিপিএলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। যার খেসারত দিতে হয়েছে ঢাকার ব্যাটসম্যানদের। সাকিব মনে করেন, রানটা বেশি হওয়াতেই ব্যাটসম্যানরা আতঙ্কিত হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে, ‘ওই সময়ে গেইলের ক্যাচ ধরতে পারলে রান ১৩০-১৪০ এর বেশি হতো না। কারণ উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য অতটা সহজ ছিল না। যেহেতু আমরা অনেক ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছি, আমাদের বিশ্বাস ছিল ১৫০-১৬০ রান হলেও আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম।’