বিপিএলের এই আসরেই দুটি সেঞ্চুরি করলেন গেইল। সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় তার সেঞ্চুরি পাঁচটি। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কায় গড়েছেন রেকর্ড। বিপিএলের সর্বোচ্চ রানটিও এখন তার। আর সেঞ্চুরি করার আগেই স্পর্শ করেছেন টি-টোয়েন্টির ১১ হাজার রানের মাইলফলক। এই ফরম্যাটে ২০ সেঞ্চুরি ও ৬৭ হাফসেঞ্চুরিতে তার রান ১১ হাজার ৫৬। প্রথম বিপিএল শিরোপা জেতার পর তাই সর্বশ্রেষ্ঠ দাবি করেই ফেললেন গেইল, ‘আমি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। বিশ্বে বস শুধু একজনই।’
এখানেই থামতে চান না গেইল। দর্শকদের বিনোদন দিয়ে যেতে চান আরও কয়েক বছর, ‘১১ হাজার রান আমার জন্য দারুণ অর্জন। আমার বয়স এখন ৩৮। আমি যতদিন সম্ভব, সমর্থকদের এভাবেই বিনোদন দিয়ে যাব। আরও যতটা সম্ভব আমি ম্যাচ জিততে চাই, শিরোপা জিততে চাই।’
মঙ্গলবার অপরাজিত ১৪৬ রান করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করালেন। কিন্তু সেরা ইনিংস তার কাছে অন্যটা, ‘আইপিএলে ১৭৫ রানের ইনিংসটাই আমার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা। তবে এই ইনিংসটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। সেরা পাঁচের মধ্যে তো অবশ্যই থাকবে।’
ম্যাচ সেরার পুরস্কারের পাশাশি ফাইনালে আরও তিনটি পুরস্কার পান ক্রিস গেইল। ঢাকায় এমন ইনিংস খেলার পর যথাযথ দায়িত্ব পালনের আনন্দ তার মনে, ‘বড় একটা ম্যাচ ছিল। ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছি, মনে হচ্ছে আমার দায়িত্বটা আমি ঠিকভাবে পালন করতে পেরেছি। সত্যি কথা, দারুণ লাগছে।’
বিপিএলের নিয়মিত মুখ গেইল। তবে চলতি আসরই উপভোগ করেছেন বেশি। অন্য সময়গুলোতে খোলসবন্দি হয়ে থাকলেও এবার দলের প্রতি তার নিবেদনটা ছিল অন্যরকম। কথা দিলেন, আগামী মৌসুমে আবারও ফিরে আসবেন, ‘রংপুরে দারুণ একটি সময় কাটিয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা শিরোপা জেতার আনন্দে মাতোয়ারা। সবাই মিলে শিরোপা জয়ের উৎসবতো করবোই। আমাকে এবার টি১০ লিগ টানছে। কিছুদিনের মধ্যে আমাকে সেখানে যেতে হবে। আশা করি আগামী মৌসুমে আবারও ফিরে আসব সবাইকে বিনোদন দিতে।’
শেষ করার আগে অধিনায়ক মাশরাফিকে আবারও প্রশংসায় ভাসালেন এই মারমুখী ব্যাটসম্যান, ‘মাশরাফি দলকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। মাশরাফি ভালো একজন নেতা। তার অভিজ্ঞতাই তাকে এগিয়ে রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা, সে ঠাণ্ডা মাথার। সে আমার ও ম্যাককালামের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছে।’