স্মিথের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার পাল্টা জবাব

স্টিভেন স্মিথ অপরাজিত ৯২ রানেপ্রথম দিন শেষে রান-পাহাড়ের ইঙ্গিত ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে। ৪ উইকেটেই যে স্কোরে জমা করেছিল তারা ৩০৫ রান। তবে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ালে সফরকারীদের স্কোর বেশিদূর এগোয়নি। ৪০৩ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা প্রথম ইনিংসে। ডেভিড মালানের পর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জনি বোয়ারস্টো। পার্থ টেস্টে ব্যাট হাতে জবাবটা ভালোই দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের হার না মানা ৯২ রানের ওপর দিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে তারা ২০৩ রানে। প্রথম ইনিংসে এখনও স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ২০০ রানে।

লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় স্কোর বড় করতে পারেনি ইংল্যান্ড। মালান ও বেয়ারস্টোর ২৩৭ রানের জুটি ভাঙার পর আর মাত্র ৩৫ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। চমৎকার ব্যাটিংয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মালান করেছেন ১৪০ রান। নাথান লিওনের বলে আউট হওয়ার আগে ২১৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৮ বাউন্ডারিতে।

তার আউটের আগেই বেয়ারস্টো তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। কিন্তু মালানের আউটের পর মঈন আলী (০) ও ক্রিস ওকস (৮) কাছ থেকে তিনি সমর্থন না পাওয়ায় ইংল্যান্ডের বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। একপ্রান্ত আগলে রাখা বেয়ারস্টোও প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ১১৯ রানের ইনিংস খেলে। শেষ পর্যন্ত ৪০৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। আগের দিন ২ উইকেট পাওয়া মিচেল স্টার্কের প্রথম ইনিংসে শিকার ৪ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন জশ হ্যাজেলউড।

লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মন্দ ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট যোগ করেন ৪৪ রান। অ্যাশেজে মোটেও সুবিধা করতে পারছেন না ওয়ার্নার, পার্থেও তিনি ফিরে গেছেন ২২ রান করে। খানিক পর ব্যানক্রফটও (২৫) তার পথ ধরলে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

৫৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন উসমান খাজা ও স্টিভেন স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে তাদের ১২৪ রানের জুটিতে পথে ফেরে স্বাগতিকরা। হাফসেঞ্চুরি করার পর খাজা (৫০) ফিরে গেলেও দিনের খেলা শেষ করে মাঠ ছেড়েছেন স্মিথ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আছেন তিনি সেঞ্চুরির পথে। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অপরাজিত ৯২ রানে। তার সঙ্গে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন শন মার্শ (৭*)। ক্রিকইনফো