নেপালকে ছাড় দেবে না বাংলাদেশের মেয়েরা

কোচ ছোটন ও অধিনায়ক মারিয়া মান্ডারবিবার শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকার এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের মিশন শুরু হবে নেপালের বিপক্ষে। চার দেশের এই টুর্নামেন্ট জয় দিয়ে শুরুর করার লক্ষ্য স্বাগতিক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের। নেপালকে কোনও রকম ছাড় দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ।

২০১৫ সালের এএফসি’র বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল বাতিল হয়েছিল নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে। সেবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা দলকে নেপাল ফুটবল কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছিল খুব। সেই সহযোগিতার কথা ভুলে যাননি ছোটন, ‘প্রতিনিয়তই এই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। আমাদের মধ্যে আন্তরিক একটা সম্পর্কও আছে। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পের সময় আমরা টুর্নামেন্ট খেলতে নেপালে ছিলাম, সে সময় তারা আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছিল, সে জন্য আবারও ধন্যবাদ।’

তবে মাঠের লড়াইয়ে এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নন তিনি, ‘মাঠের বাইরের আন্তরিকতা আর মাঠের খেলা এক নয়। মাঠের খেলা মানে যুদ্ধ, তো যুদ্ধ জয়ের জন্য আমরা সবকিছুই করব। নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে জয়ের চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দলের অবস্থা শোচনীয় হলেও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। সবশেষ র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের অবস্থান ১০০ নম্বরে। যদিও র‌্যাংকিং নয়, মাঠের খেলাতেই নজর ছোটনের, ‘র‌্যাংকিংয়ের ১০০ নম্বরে ওঠা ভালো খবর, কিন্তু আমরা ওটা এখন আর মনে রাখছি না। মাঠের খেলার দিকেই নজর দিচ্ছি।’

ঘরের মাঠে খেলা, তাই নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে দারুণ আশাবাদী অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, ‘নিজেদের মাঠে খেলা। এই সুযোগ কাজে লাগাতে সর্বশক্তি নিয়ে আমরা খেলতে নামব। জয়ের চেষ্টা করব। এর আগে নেপালকে আমরা ৯-০ গোলে হারিয়েছিলাম। তাছাড়া আমরা কোনও চাপ অনুভব করছি না।’

নেপাল কোচ গঙ্গা গ্রুম বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন, তবে জয়ের আশা ছাড়ছেন না, ‘বাংলাদেশ ভালো দল, কিন্তু আমরাও প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে সেরা ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আমরা মাস দেড়েক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার দৃষ্টিতে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সবচেয়ে শক্তিশালী দল। তারা ট্যাকটিক্যালি অনেক এগিয়ে।’