জয়ে শুরু যুবাদের বিশ্বকাপ মিশন

নামিবিয়াকে হারানোর পর বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের সেলফি। ছবি-আইসিসিজয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নামিবিয়াকে ৮৭ রানে হারিয়েছে সাইফ হাসানরা।

বৃষ্টির কারণে বার্ট সাটক্লিফের ম্যাচটি নেমে এসেছিল ২০ ওভারে। টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়া ম্যাচটিতে অধিনায়ক সাইফ ও মোহাম্মদ নাঈমের হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করে ১৯০ রান। জবাবে কাজী অনিক ও হাসান মাহমুদের চমৎকার বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানের বেশি করতে পারেনি নামিবিয়া।

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট হারায় নামিবিয়া। তখনই আসলে জয় দেখে ফেলেছিল যুবারা। হাসানের বলে মাত্র ৪ রান করে অধিনায়ক লোহান লরেন্স আউট হলে বাংলাদেশ পায় প্রথম উইকেট। খানিক পর রান আউট হয়ে ফেরেন জার্গেন লিন্ডে (৪)। আর কাজী অনিকের জোড়া আঘাতে শন ফুচে (১) ও এরিচ ফন মলেনডোর্ফ (০) আউট হলে বাংলাদেশ পেতে থাকে জয়ের সুবাস।

এবিন ফন উইক হাফসেঞ্চুরি করে হারের ব্যবধান যা একটু কমিয়েছেন নামিবিয়ার। এই ব্যাটসম্যান ৫২ বলে করেন ৫৫ রান। নিকোল লোফটি-এটোনোর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। কাজী অনিক ও হাসান মাসুদ দুজনই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

বিশ্বকাপটা ৫০ ওভারের হলেও বাংলাদেশের যুবাদের শুরুটা হলো ‘টি-টোয়েন্টি’ দিয়ে। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারে দাঁড়ানো ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। যেখানে অধিনায়ক সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈমের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দেয় তারা নামিবিয়ার দিকে।

পিনাক ঘোষ বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও দারুণ শুরু করে দিয়ে যান বাংলাদেশের। ১৮ বলে খেলে যান ২৬ রানের ইনিংস। এরপরই শুরু নাঈম-সাইফের জুটি। ৯৭ রানের জুটি গড়ার পথে দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। আউট হওয়ার আগে নাঈম করেন ৪৩ বলে ৬০ রান, যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৮ চার ও এক ছক্কায়।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তাকেও ছাড়িয়ে যান সাইফ। বাংলাদেশের অধিনায়ক খেলেছেন ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৪৮ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। আর আফিফ হোসেন করেছেন ১১ রান।