এনগিদির পেসে চাপে ভারত

লুঙ্গি এনগিদির পেসে চাপে পড়েছে ভারতসেঞ্চুরিয়ন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশি দূর এগোতে দেয়নি ভারতের বোলাররা। কিন্তু জয়ের জন্য তাদের ব্যাটসম্যানরা কি ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? চতুর্থ দিন শেষে এ প্রশ্ন রাখাই যায়। তাদের কঠিন চাপে রেখেছেন প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিদি। ২৬ রানের মধ্যে ভারতের তিন উইকেটের দুটি নেন এই ডানহাতি বোলার।

২৮৭ রানের টার্গেটে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রানে ৩ উইকেটে মঙ্গলবারের খেলা শেষ করেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৮ রানে অলআউট হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। ভারত প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩০৭ রান।

৩ রানে ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিরাপদে রেখে সোমবারের খেলা শেষ করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ডিন এলগার। তাদের দুইজনের ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শুরু হয় নতুন দিন। ৫০ রানে খেলতে নামা ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে একশ ছাড়ানো জুটি গড়েন এলগার। আগের দিনের ৩৬ রানকে নবম হাফসেঞ্চুরিতে রূপ দেন এই প্রোটিয়া ওপেনার।

শক্ত এ জুটিকে দেড়শ ছুঁতে দেননি মোহাম্মদ সামি। ডি ভিলিয়ার্সকে ৮০ রানে পার্থিব প্যাটেলের ক্যাচ বানান তিনি। ১৪১ রানের এ জুটি ভাঙার পর ১৯ রানের মধ্যে এলগার (৬১) ও কুইন্টন ডি কককেও (১২) মাঠ ছাড়া করেন সামি।

এক হাতে ক্যাচ ধরে দু প্লেসিসকে ফেরালেন বুমরাহ১৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিস। কেশব মহারাজের সঙ্গে ৩১ ও কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন তিনি। বেশ ধীর ইনিংস খেলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ডু প্লেসিস। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরির হাতছানি পেলেও সেটা হয়নি, জশপ্রীত বুমরাহ এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ফিরতি বলে।  ১৪১ বলে ৪৮ রান করেন দু প্লেসিস। ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

সামি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। তিনটি পান বুমরাহ।

প্রায় চার সেশন হাতে রেখে খেলতে নেমে সতর্ক ব্যাটিং করছিল ভারত। সুবিধা করতে পারেনি তারা, দলীয় ১১ রানে ওপেনার মুরালি বিজয়কে (৯) হারায়। এরপর এনগিদির পেসে ১৬ ও ২৬ রানে মাঠ ছাড়েন লোকেশ রাহুল (৪) ও বিরাট কোহলি (৫)। 

এই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টায় ক্রিজে বাকি সময় পার করেছেন চেতেশ্বর পূজারা (১১*) ও পার্থিব (৫*)। ৭ উইকেট হাতে থাকা ভারতকে এখনও করতে হবে ২৫২ রান।