ভারতকে গুঁড়িয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

অভিষেকেই উজ্জ্বল এনগিদি। দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৬ উইকেটশেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৭ উইকেট। লাঞ্চের বিরতিতেও যাওয়া লাগলো না তাদের, তার আগেই অভিষিক্ত লুঙ্গি এনগিদির বোলিং তোপে ভারতের বিপক্ষে পেয়েছে ১৩৫ রানের জয়। যাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।

সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল ২৮৭ রান। শুধু ম্যাচ জেতা নয়, সিরিজে টিকে থাকতে হলেও জয় ছাড়া কোনও পথ ছিল না সফরকারীদের। কিন্তু চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৮ রানে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে কঠিন সময় পার করে ভারত। ৩৫ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। তখনই আসলে অশনিসংকেত পেয়েছিল তারা। যদিও পঞ্চম দিনে যে এতটা খারাপ সময় অপেক্ষা করছে, সেটা ভাবার কথা নয় বিরাট কোহলিদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে, বিশেষ করে ৩৯ রানে ৬ উইকেট পাওয়া এনগিদির আগুনে বোলিংয়ের সামনে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৫১ রানে।

অথচ তখনও লাঞ্চেও যায়নি পঞ্চম দিনের খেলা! চেতশ্বর পূজারা লজ্জার এক রেকর্ড গড়ে আউট হলে শুরু ভারতের উইকেট হারানোর মিছিল। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও রান আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি প্যাভিলিয়নে। টেস্ট ইতিহাসে ২৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ইনিংসেই রান আউট হয়েছেন ১৯ রান করা পূজারা।

ব্যর্থ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল। ঋদ্ধিমান সাহার চোটে একাদশে সুযোগ পাওয়া প্যাটেল প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও করেছেন ১৯ রান। এরপরই শুরু এনগিদির তোপ। জোড়া আঘাতে এই পেসার প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া (৬) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (৩)। তবে বিপর্যয়ের মধ্যে খানিক সময় প্রোটিয়াদের ভুগিয়েছেন রোহিত শর্মা। মোহাম্মদ সামির সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে একটু দেরি করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জয় পেতে। ৩ উইকেট পাওয়া কাগিসো রাবাদার বলে রোহিত ৪৭ রানে আউট হলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে যায় স্বাগতিকদের।

এনগিদি ম্যাচের সঙ্গে সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন মোহাম্মদ সামি (২৮) ও জসপ্রিৎ বুমরাহকে (২) আউট করে। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে তরুণ এই পেসার হয়েছেন ম্যাচসেরা। ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৩৫ ও ২৫৮।

ভারত: ৩০৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০.২ ওভারে ১৫১ (রোহিত ৪৭, সামি ২৮, পূজারা ১৯, প্যাটেল ১৯; এনগিদি ৬/৩৯, রাবাদা ৩/৪৭)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৫ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: লুঙ্গি এনগিদি।