রুবেলের স্বপ্নের সীমানায় ৩০০ উইকেট

বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে রুবেল। ছবি-বিসিবিঠিক ৯ বছর আগে, ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল রুবেল হোসেনের। সোমবার একই মাঠে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি স্পর্শ করেছেন ১০০ উইকেটে মাইলফলক। ‘ওয়ান হানড্রেড ক্লাবে’ প্রবেশ করতে দীর্ঘ সময় লেগে গেলেও ওয়ানডেতে ২৫০ থেকে ৩০০ উইকেট শিকারের স্বপ্ন দেখেন এই ডানহাতি পেসার।

২৮ বছর পূর্ণ করা একজন পেসারের পক্ষে এমন কঠিন স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব? বুধবার মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের পর প্রশ্নটা উঠতেই ‘দার্শনিক’ রুবেলের মন্তব্য, ‘এটা অনেক কঠিন, তবে আশা করতে দোষ কী! স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে তো দোষ নেই। দেখা যাক কী হয়!’

১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে রুবেলের লক্ষ্য, ‘১০০ উইকেট পেয়েছি ৮-৯ বছরে। এর মধ্যে এক বছর ইনজুরিতে ছিলাম। লক্ষ্য পূরণ নির্ভর করে কতগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো তার ওপরে। আমাদের দেশে পেস বোলাররা হয়তো অত বেশি সুযোগ পায় না। তারপরও ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে ২৫০ থেকে ৩০০ উইকেট দেখতে চাই।’

চার উইকেট নিয়ে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই ‘খলনায়ক’ হয়ে গিয়েছিলেন রুবেল। এবারের মতো ২০০৯ সালেও শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৫২ রানে অলআউট হলেও বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। দুই উইকেট হাতে নিয়ে ৩০ বলে ৩৫ রান প্রয়োজন শ্রীলঙ্কার, এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে রুবেলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আর রুবেলের করা ৪৬তম ওভারে ২০ রান নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে নিয়ে যান মুত্তিয়া মুরালিধরন। সাকিব আল হাসান পরের ওভারে মাত্র দুই রান দিলেও লাভ হয়নি। ৪৮তম ওভারে আবার রুবেলের ওপরে তাণ্ডব চালিয়ে ১২ রান তুলে নেন ‘মুরালি’, আর বাংলাদেশও ম্যাচটা হেরে যায় ২ উইকেটে। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকরা সেই ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিতেই তার মুখে অনাবিল হাসি, ‘না, না সেই স্মৃতি মনে নাই, ভুলে গেছি। আপনারাই এসব কথা মনে করিয়ে দেন!’

ইদানীং বোলিংয়ে সূচনা করার তেমন সুযোগ পান না, একটু দেরিতেই আক্রমণে আসেন তিনি। তাই নতুন বল হাতে নেওয়ারও সুযোগ হয় না। এ বিষয়ে রুবেলের মন্তব্য, ‘নতুন বলে অবশ্যই বোলিং করতে ইচ্ছে করে। তবে সব সময় ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করতে হয়। অধিনায়ক যখন প্রয়োজন মনে করবেন, আমি তখনই বোলিং করতে প্রস্তুত।’

সবশেষে জানালেন আক্ষেপের কথা, ‘মিরপুর স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। তাহলে মাইলফলকের ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ পেতাম।’