‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তারা সম্মান পাচ্ছে’

তুষার ও রাজ্জাককে নিয়ে কথাটা বলেছেন মাশরাফি। ছবি: বিসিবিপ্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একদিনের ব্যবধানে খুলনা বিভাগের দুই ক্রিকেটার গড়েছেন অনন্য কীর্তি। মঙ্গলবার তুষার ইমরান প্রথম শ্রেণিতে ১৫৪ ম্যাচ খেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। অন্যদিকে আব্দুর রাজ্জাক বুধবার প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে।

তুষার ২০০৮ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে আর কখনোই সুযোগ পাননি। অন্যদিকে আব্দুর রাজ্জাক ২০১৪ সাল থেকে দলের বাইরে। দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছেন। তারপরও তাদের সুযোগ হচ্ছে না। জাতীয় দলে একই সময়ে আবির্ভাব মাশরাফি ও তুষারের। রাজ্জাকের শুরুটা একটু পরে হলেও দীর্ঘদিন খেলেছেন মাশরাফির সঙ্গে। চোটের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এখনও খেলে গেলেও জাতীয় দলের আশেপাশেও নেই তুষার-রাজ্জাক।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েও জাতীয় দলে উপেক্ষিত তারা। যোগ্য সম্মান কি পাচ্ছেন এই দুই ক্রিকেটার- মাশরাফির সামনে প্রশ্নটা ছিল বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক উত্তরটা দিলেন বেশ গুছিয়ে, ‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যদি বলেন, তাহলে বলবো অবশ্যই পাচ্ছে। আমরা একটু আগে বাসে আসার সময়ও তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি- তুষার ইমরান ১০ হাজার রান করেছে, রাজ্জাক ৫০০ উইকেট পেয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন তারা কতটা সম্মান পাচ্ছে।’

তরুণ ক্রিকেটারদের ‘আদর্শ’ হিসেবেও দেখছেন তিনি তুষার-রাজ্জাককে, ‘এই বয়সেও তারা ক্লাবের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। যে ইচ্ছাশক্তি নিয়ে খেলে যাচ্ছে, সেটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি মনে করি, তরুণ খেলোয়াড়দের তুষার-রাজ্জাকদের কাছ থেকে শেখা উচিত।’

মাশরাফি আরও বলেছেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ বা ১০ হাজার রান কোনও সহজ কথা নয়। এটা চাইলেই কেউ করে ফেলতে পারবে না। সেজন্য তাদের ১৭-১৮ বছর খেলতে হয়েছে, ফিট থেকে এতদিন খেলে গেছে। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সেই সম্মান দিতে চাই এবং দিচ্ছি। হয়তো আনুষ্ঠানিক কিছু সম্ভব হয়নি। তবে অবশ্যই আমাদের জায়গা থেকে তাদের সম্মান দেই।’