তামিমের কাছ থেকে শিখছেন এনামুল

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ছবি-বিসিবিদলের পরিকল্পনার সঙ্গে মানিয়ে খেলার চেষ্টা করছেন এনামুল হক বিজয়। তার বিশ্বাস, সামনের ম্যাচে তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারবেন। সেজন্য তামিম ইকবালের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা এই ডানহাতি ওপেনার।

আগামী মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শনিবার বিশ্রামে কাটিয়ে রবিবার অনুশীলন করেছে টাইগাররা। অনুশীলন শুরুর আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এনামুল।

কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন তামিম। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচেই দেশসেরা ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৪ রান। তামিমের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এনামুল বলেছেন, ‘বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের ব্যাপার। তামিম ভাইকে দেখলে বোঝা যায়, তার কাছে বড় ইনিংস খেলা কোনও ব্যাপারই না। জুনিয়র হিসেবে এটা আমার জন্য শিক্ষণীয়। তামিম ভাইয়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হয়। মাত্র দলে ফিরলাম। আশা করি, সামনে অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং বড় ইনিংস খেলতে পারবো।’

তামিমকে অনুসরণের কথা জানিয়ে এনামুলের মন্তব্য, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তামিম ভাই মাঝ মাঝে রিস্ক নেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।’

গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৯০.৭১ স্ট্রাইক রেটে এনামুল করেছেন ৫৯৬ রান।  লিগের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলে কাজে লাগানোর সংকল্প তার, ‘একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খেললেই ইনিংস বড় করা সম্ভব। এটা তেমন কঠিন হবে না, কারণ প্রিমিয়ার লিগে স্ট্রাইক রেট ৯০-এর উপরে রেখে বেশ ভালো রান করেছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তেমন ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করবো।’

একসময় ‘ডট’ বল দেওয়ার প্রবণতা থাকলেও এই টুর্নামেন্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন এনামুল। ইনিংস বড় করতে না পারলেও প্রথম ম্যাচে ১৩৫.৭১ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৯৪.৫৯। আগের চেয়ে স্বাধীনভাবে খেলতে পারছেন না কিনা প্রশ্নে এনামুলের উত্তর, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে, সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাকে সাপোর্ট করছেন। আমি সবসময় চাই দলের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে উজাড় করে দিতে। দল খুশি, আমিও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি!’

প্রায় সোয়া দুই বছর পর ফিরেছেন জাতীয় দলে। ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলে এনামুল বলেছেন, ‘আমরা টিম হিসেবে খেলছি, সবাই চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে। এখন ড্রেসিংরুমে খুব ভালো লাগে, ড্রেসিংরুমে থাকলে মনে হয় বাংলাদেশ অনেক বড় দল।’