জিম্বাবুয়েকে ১৯৮ রানে বেধে দেওয়ার পর ৪৪.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটে তারা করে ২০২ রান।
ত্রিদেশীয় সিরিজে টিকে থাকতে জিততেই হতো শ্রীলঙ্কাকে। এ সমীকরণ মাথায় রেখে প্রতিপক্ষকে তারা দুইশ রানের আগেই গুটিয়ে দেয়। থিসারা পেরেরা ও নুয়ান প্রদীপের বলে আগের ম্যাচের মতো লড়াকু ইনিংস গড়তে পারেনি জিম্বাবুইয়ানরা।
ব্রেন্ডন টেলরের ৫৮ ও অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার (৩৪) কেবল প্রতিরোধ গড়েছিলেন। থিসারা ৪টি ও নুয়ান ৩টি উইকেট নেন।
এ ধাক্কার রেশ বেশ কিছুক্ষণ ছিল। ১৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় তারা। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে নিরোশান ডিকবেলার জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মুজারাবানি তার পরের ওভারে কুশল মেন্ডিসের (৩৬) অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। ডানহাতি এই পেসার আরও একটি উইকেট তুলে নেন পরের ওভারে। ডিকবেলা ফেরেন ৭ রানে।
অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল এরপর খুব সতর্ক হয়ে খেলেছেন আসেলা গুনারত্নেকে নিয়ে। যদিও দলীয় ১৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। গুনারত্নে আউট হন কাইল জার্ভিসের বলে।
চান্ডিমাল ও থিসারা অপরাজিত ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। চান্ডিমাল ৩৮ ও থিসারা ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৬ বলে ১ চার ও ৩ ছয় মারেন থিসারা।
সিরিজে তৃতীয় ম্যাচ খেললো জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ হারলেও পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরেই আছে জিম্বাবুইয়ানরা। তাদের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল লঙ্কানরা। নেট রানরেটে তারা পিছিয়ে। জিম্বাবুয়ের নেট রানরেট -০.৮৯২, আর শ্রীলঙ্কার -০.৯৮৯।
দুই দলই তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আগামী ২৩ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ে, আর শ্রীলঙ্কা স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে ২৫ জানুয়ারি।