জহুরুলের ১০২ রানের ইনিংসের সঙ্গে রজত ভাটিয়ার হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে গাজী স্কোরে তোলে ২৪৭ রান। জবাবে মাহিদুল ইসলাম ও অশোক মেনারিয়ার হাফসেঞ্চুরিতে খেলাঘর ৯ বল আগে জয় নিশ্চিত করে ৫ উইকেট হারিয়ে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মন্থর ব্যাটিং করেছে গাজী। উইকেট হাতে থাকলেও তাই স্কোর বড় করতে পারেনি খুব একটা। টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ ইমরুল কায়েস প্রিমিয়ার লিগে এসেও পাননি রানের দেখা। মাত্র ১৪ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। মুমিনুল হক শুরুটা ভালো করলেও থামতে হয় তাকে ৪৪ রানে।
জাতীয় দলে খেলে আসা এই দুই ক্রিকেটার সুবিধা করতে না পারলেও অধিনায়ক জহুরুল প্রমাণ করেছেন নিজেকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে খেলে আসেন ১০২ রানের কার্যকরী ইনিংস। ১৪২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।
জহুরুলকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ভাটিয়া। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান ৬০ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। এই ইনিংসটাতেই গাজীর রান ২৪৭ পর্যন্ত যায়। খেলাঘরের বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, রাফসান আল মাহমুদ ও তানভীর ইসলাম।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে রবিউল ইসলাম রবি ও নাফিস ইকবাল যোগ করেন ৫০ রান। রবিউল ৩২ রানে আউট হওয়ার পর নাফিস ফেরেন ২৮ রান করে। তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মাহিদুল। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটসম্যানের ৮৫ রানের কার্যকারী ইনিংস জয়ের ভিত গড়ে দেয় খেলাঘরের। আর জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মেনারিয়া ৫১ রান করে। যার আনুষ্ঠানিকতা সারেন নাজিমউদ্দিন (১৪*) ও মুমিনুল ইসলাম (৬*)।
খেলাঘরের নাঈম হাসান ৪৮ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মুমিনুল হক।