বেশি ডট বল খেলার মাশুল দিলো বাংলাদেশ

273762ভারতের কাছে নিদাহাস ট্রফি হেরে শুরু করায় ব্যাটসম্যানদের দায়ী করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সংশয়ে নয়, নির্ভীক ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিলেন তিনি ব্যাটসম্যানদের।


বাউন্ডারির হিসাবে নিদাহাস ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারত প্রায় সমান। বাংলাদেশ চার মেরেছে ১২টি, সঙ্গে তিনটি ছয়। আর ১৩ চার ও ৩ ছয় ভারতের। বাংলাদেশ যেখানে পিছিয়ে পড়েছে, সেটা হলো সিঙ্গেল নেওয়ায়। ভারতের ৫৮টি সিঙ্গেলসের বিপরীতে বাংলাদেশের ৪৩। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ ৫৬ শতাংশ ডট বল খেলেছে। তাছাড়া ব্যাটসম্যানরা বারবার বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেছে, যার মাশুল দিতে হয়েছে উইকেট হারিয়ে। আর ভারত ডট বল খেলেছে ৩২ শতাংশ। এই ব্যাপারই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

বৃহস্পতিবার ৬ উইকেটে হারের পর মাহমুদউল্লাহ বললেন তার আক্ষেপের কথা, ‘আজ সম্ভবত আমরা ৫০ ডট বলেরও (৬৮টি) বেশি খেলেছি। এরকম হলে অন্য ব্যাটসম্যানের ওপর চাপ তৈরি করা হয়। আমি খেললাম ৭টি ডট বল এবং আউট হয়েছি সহজেই। যদি বাউন্ডারির ওপর আপনি নির্ভরশীল হন, তবে সব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্রাইক পাল্টানোর সঙ্গে যদি বাউন্ডারি মারা যায়, তাহলে ব্যাটসম্যাদের ওপর চাপ কমে আসে।’

ইনিংসের মাঝামাঝি সময় ছাড়াও পাওয়ার প্লেতে যথেষ্ট ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৪৪ রান করেছে, হারিয়েছে ২ উইকেট। আর ৭ থেকে ১২ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে থাকলেও চারটি ভিন্ন ওভারে চার বা তার চেয়েও কম রান করেছে। লিটন দাস ও সাব্বির রহমান যতক্ষণ একসঙ্গে ছিলেন, কেবল তখন স্ট্রাইক রেট কিছুটা বেড়েছিল।

দলের ছন্দ হারানোর কথা স্বীকার করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘মিডল ওভারে ব্যাট করার সময় আমরা মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়েছি। যখন বাউন্ডারি আসছিল না, তখন আমরা এক এবং দুই রান নিতেই ভুগেছি। তারপর উইকেট ছুড়ে দিয়েছি। আমার মতে দোষ আমাদের ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে এই উইকেটে যখন খেলা এবং দলে আছে পাঁচ বোলার ও ছয় ব্যাটসম্যান, তখন ভালো কিছু করতে হবে। কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হয়।’

ভারতের কাছে এই হার টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা পঞ্চম এবং শেষ ১৪ ম্যাচে ১৩তম। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে ব্যাটসম্যানদের রানের ফোয়ারা তৈরির কথা, তখন বাংলাদেশের বেহাল দশা। শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে ১৫০ রানের কোটা পার করতে পারেনি তারা। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মাহমুদউল্লাহর পরামর্শ, ‘আমাদের নির্ভীক হতে হবে, কোনও সংশয় নিয়ে ভাবা যাবে না। নয়তো এসব ম্যাচ খেলার কোনও মানে নেই। আমাদের প্রকাশ করতে হবে, যাই হোক না কেন। টি-টোয়েন্টি হচ্ছে ঝুঁকি নেওয়ার খেলা।’