সুপার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

ম্যাচসেরা হয়েছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মেহেদী হাসানঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বাঁচা-মরার লড়াই ছিল রবিবার। সুপার লিগ নিশ্চিত করতে জিততেই হতো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। হতাশ হতে হয়নি গাজী গ্রুপকে, মেহেদী হাসানের হাফসেঞ্চুরিতে তারা চার উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরকে। দিনের অন্য দুই ম্যাচে আবাহনী ৫৬ রানে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে এবং খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি দুই উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে।

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স-প্রাইম দোলেশ্বর

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৬ রান করেছে প্রাইম দোলেশ্বর।  সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ফজলে মাহমুদ। গাজী গ্রুপের হয়ে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাওয়াদ আলম তিনটি ও টিপু সুলতান নিয়েছেন দুই উইকেট।

জবাবে ৩৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মেহেদী হাসানের ৫৯, ফাওয়াদ আলমের ৪৬ আর জাকের আলীর অপরাজিত ৩১ রান জয় এনে দিয়েছে গাজী গ্রুপকে।

পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার জোহাইব খান ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েও প্রাইম দোলেশ্বরকে জয় এনে দিতে পারেননি।

আবাহনী-শাইনপুকুর

ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে হেরে চার উইকেটে ৩৩৫ রান করেছে আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১৫০ রান বিশাল সংগ্রহ এনে দিয়েছে আকাশি-হলুদ শিবিরকে। ১২০ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ৯টি করে চার ও ছক্কায়। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটা শান্তর চতুর্থ সেঞ্চুরি। একটুর জন্য সেঞ্চুরি মিস করা সাইফ হাসান করেছেন ৯৪ রান।

শাইনপুকুরের হয়ে সাইফউদ্দিন ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল শাইনপুকুর। ‍উদ্বোধনী জুটিতে ফারদিন হাসান ও সাদমান ইসলাম তুলে ফেলেন ১২৫ রান। সাদমান ৫৬ রানে ফিরে গেলে ক্রিজে নামেন তৌহিদ হৃদয়। তার সঙ্গে ১১৩ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন ফারদিন। ১১৮ বলে ১০৪ রান করে ফারদিন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর শাইনপুকুরের ছন্দপতন ঘটে। হৃদয় ৮৩ রান করলেও তিন উইকেটে ২৭৩ রানে থেমে যায় শাইনপুকুরের ইনিংস।

আবাহনীর হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

খেলাঘর-প্রাইম ব্যাংক

বিকেএসপিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খেলাঘরকে জয় এনে দিয়েছেন মাসুম খান। শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। ২৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করে মাসুম খেলাঘরের জয়ের নায়ক। বিজয়ী দলের সর্বোচ্চ ৭১ রান অধিনায়ক অমিত মজুমদারের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান ভারতের অশোক মেনারিয়ার। ৫০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সেরা বোলার শরীফুল ইসলাম।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। সর্বোচ্চ ৯৪ রান এসেছে আল আমিনের ব্যাট থেকে। খেলাঘরের পক্ষে মোহাম্মদ সাদ্দাম চারটি ও তানভীর ইসলাম তিনটি উইকেট নিয়েছেন।