দুঃসময় পেরিয়ে সাব্বিরের জ্বলে ওঠা

সাব্বির ৫০ বলে খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংসঅবশেষে হাসলো সাব্বির রহমানের ব্যাট। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে তার ব্যাটে ভর দিয়েই বাংলাদেশ ১৬৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। যেখানে ডানহাতি এই হার্ডহিটারের অবদান ৭৭। চমৎকার এই ইনিংস খেলার পথে টি-টোয়েন্টিতে ২১ ইনিংস পর হাফসেঞ্চুরি দেখা পেয়েছেন সাব্বির।

সেই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির। এরপর কেটে গেছে দুই বছরেরও বেশি সময়। এই সময়ে তিনি খেলেছেন ২১টি ইনিংস, যেখানে সর্বোচ্চ ছিল ৪৮ রানের ইনিংস। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে রানে ছিলেন না সাব্বির। এ নিয়ে সমালোচনাও কম শুনতে হয়নি তাকে। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৫০ বলের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়েছেন।

নিদাহাস ট্রফিতে আগের চার ম্যাচে ভালো শুরুর পরও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাব্বির। চার ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ছিল এমন- ৩০, ০, ২৭, ১৩। চোট কাটিয়ে সাকিব অধিনায়ক হিসেবে ফেরার পর তিন নম্বর পজিশনে ফিরিয়ে এনেছেন সাব্বিরকে। পজিশনে উন্নতি হওয়ার সঙ্গে পারফরম্যান্সেও উন্নতি হয়েছে তার। তিন নম্বরে নেমেই পেলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৮০ রানও পেয়েছিলেন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে।

৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর খাদের কিনারায় ছিল বাংলাদেশ। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন সাব্বির। তার ভুলেই অবশ্য মাহমুদউল্লাহ রান আউট হয়েছিলেন, তাই দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায় সাব্বিরে ওপর। এরপর সাকিবও রান আউট হয়ে ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে এক পাশে রেখে সাব্বির একের পর এক আক্রমণ চালান ভারতীয় বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় খেলে যান ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস।