সেদিন সোহানকে কী বলেছিলেন থিসারা?

থিসারার সঙ্গে সোহানের কথার লড়াইনিদাহাস ট্রফির লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ চলছিল তখন। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১২ রান। ইসুরু উদানার প্রথম বল চলে যায় মোস্তাফিজের মাথার ওপর দিয়ে। দ্বিতীয় বলও বাউন্সার হলে লেগ আম্পায়ার ‘নো’ দিয়েছিলেন, কিন্তু বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। এ নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই সময় মাঠের ভেতরে পানি নিয়ে যাওয়া দ্বাদশ খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা আর কুশল মেন্ডিসের কথার লড়াই উত্তপ্ত করে তোলে পরিস্থিতি।

সোমবার দেশে ফিরে সোহান জানালেন, থিসারার গালিগালাজ শুনে রাগে ফেটে পড়েছিলেন তিনি। এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে  শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডারের সঙ্গে রীতিমতো আঙুল তুলে কথা বলেছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয় শেষ পর্যন্ত।

সেই সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে সোহান বললেন, ‘আমি মাঠে ঢুকে রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম। রিয়াদ ভাই লেগ আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, উদানার প্রথম বলটা বাউন্সার ঘোষণা করা হয়েছিল কিনা।’

আর তখনই ঝামেলার শুরু। যে ঝামেলার কথা সোহান বর্ণনা করলেন এভাবে, “থিসারা আমাকে বলে, ‘তুমি কথা বলার কে, তুমি যাও, তোমার কথা বলা লাগবে না।‘ আমি তখন বলেছি, ‘তোমার সঙ্গে তো আমি কথা বলছি না। আমি মাঠে থাকবো কি থাকবো না, এটা তোমার দেখার বিষয় না।’ তখন ও আমাকে গালি দিয়েছে।”

এখন অবশ্য ঘটনাটার জন্য অনুতাপ হচ্ছে সোহানের, ‘আমার হয়তো চুপ থাকা উচিত ছিল। আমি আসলে হিট অব দ্য মোমেন্টে থিসারার কথার জবাব দিয়েছি।’

গত শুক্রবারের সেই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস দুই উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ছয় রান। ওভারের পঞ্চম বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে মাহমুদউল্লাহর বিশাল ছক্কা টাইগারদের নিয়ে যায় ফাইনালে।