বোলারদের দাপটে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মরনে মরকেলপ্রথম দিন শেষে সুবিধাজনক জায়গাতে ছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে পাল্টে গেল দৃশ্যটা। কেপ টাউন টেস্টে এখন এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাই। দিন শেষ অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৪৫ রান। সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে এখনও পিছিয়ে ৬৬ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। তিন পেসার- মরনে মরকেল, কাগিসো রাবাদা ও ভারনন ফিল্যান্ডারের তোপে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছে তাদের। দ্বিতীয় দিন শেষে রান তবু যে ২৪৫ পর্যন্ত গিয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব পাবেন নাথান লায়ন। এই স্পিনারের ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে, দিনের শেষ ভাগে আউট হওয়ার আগে খেলে যান ৩৮ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংস।

ওপেনিংয়ে নেমে অমন ঝড় তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নারও। মাত্র ১৪ বলেই এই ব্যাটসম্যান করেন ৩০ রান। তবে রাবাদার বলে তার বিদায়ের পর ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনে। মরকেলের তোপে দাঁড়াতেই পারেননি উসমান খাজা (৫) ও স্টিভেন স্মিথ (৫)। এরপর শন মার্শকেও (২৬) প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে এই পেসার দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম বোলার হিসেবে স্পর্শ করেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মরকেলের এই টেস্টে খেলারই কথা ছিল না। লুঙ্গি এনগিদি পায়ে চোট পেলে খুলে যায় একাদশের জায়গায়। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বসলেন ডেল স্টেইন, শন পোলক, মাখায়া এনটিনি ও অ্যালান ডোনাল্ডের পাশে। দিনের শেষ ভাগে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা লায়নকে ফিরিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ভারনন ফিল্যান্ডারের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১০৩ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে করেন ৭৭ রান। মিচেল মার্শকে (৫) আউট করা ফিল্যান্ডারের শিকার ২ উইকেট। আর রাবাদা নিয়েছেন ৩ উইকেট।

এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ব্যাট ক্যারি করে মাঠ ছেড়ে নতুন এক রেকর্ড স্পর্শ করেন ডিন এলগার। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ৩১১ রানে অলআউট হয়, এলগার তখন অপরাজিত ১৪১ রানে। তাতে ইনিংস শুরু করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার রেকর্ডে বসেন ডেসমন্ড হাইন্সের পাশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ওপেনারও তিনবার ব্যাট করেছিলেন গোটা ইনিংসে। ক্রিকইনফো