মুশফিকের ১৩ বছর

মুশফিকুর রহিমআজ থেকে ১৩ বছর আগের কথা। ২০০৫ সালের ১৩ মে লর্ডসে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সেদিন ‘ক্রিকেটের মক্কা’য় খেলতে নেমেছিলেন আঠারো ছোঁয়া এক তরুণ। সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩টি বছর কাটিয়ে মুশফিকুর রহিম এখন অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ, পরিণত। ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক দুই ভূমিকায় বাংলাদেশের অনেক জয়ের রূপকার। মুশফিকের নেতৃত্বে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মাটিতে জিতেছে শততম টেস্ট, ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে (এশিয়া কাপ) খেলেছে। ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মুশফিক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক নিঃসন্দেহে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর পূর্তির দিনটি ভুলে যাননি মুশফিক। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলে চলেছি। সময় কীভাবে চলে যায়!  দিনটি সব সময় আমাকে মনে করিয়ে দেয়, ভাগ্যবান বলেই আমি জাতীয় দলের জার্সি পেয়েছি। সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ রমজান মাসে সবার দোয়া কবুল করেন...। তাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।  সবার জন্য ভালোবাসা।’

১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৬০টি টেস্ট, ১৮৪টি ওয়ানডে ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মুশফিক।  বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার গৌরব তার অধিকারে। টেস্ট ক্রিকেটে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান।