বাংলাদেশের হারের ধরনে ক্ষুব্ধ বিসিবি প্রধান

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানসিরিজ শুরুর আগেই শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তাই বলে প্রথম দুই ম্যাচেই এভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার কথা কল্পনাও করেনি টাইগার-ভক্তরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হেরে ভীষণ ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান।

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টানা দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ এখন হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায়। বিসিবি প্রধানের কাছে অবশ্য একটা ম্যাচ হারই অনেক কিছু। বুধবার গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার কাছে একটা ম্যাচ হারই অনেক বড়। আমি মনে করি একটা বা তিনটা ম্যাচ হারা সমান। আমরা সিরিজ হেরে গেছি, কিন্তু এই সিরিজে হারের ধরন আমার ভালো লাগেনি।’

সিরিজ শুরুর আগেই আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। শঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। নাজমুল হাসান অবশ্য শুধু প্রতিপক্ষের বোলিংকে সাকিবদের হারের কারণ মানতে রাজি নন, ‘এটা ঠিক যে ওদের ভালো বোলার আছে। তবে ভালো বোলার থাকলেই একটা দল জেতে না। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে রশিদ খান ছিল, সাকিবের মতো এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিল। কিন্তু আইপিএলের শিরোপা জিততে পারেনি। প্রতিপক্ষ দলে ভালো বোলার থাকলেই হেরে যেতে হবে? দলের প্ল্যানিংটাই বুঝতে পারছি না আমি। ব্যাটিং হতাশাজনক, তবে বোলিং ঠিক আছে। ওরা ২০০ রান করলে বুঝতাম বোলিংয়ে সমস্যা আছে। ১৮০ রানও তো করতে পারেনি।’

বোর্ড প্রধানের আশঙ্কা, কোনও সমস্যা আছে দলের ভেতরে, ‘আফগানিস্তানের বোলিং খুব ভালো। রশিদ খান যে বিশ্বমানের স্পিনার, কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তারপরও ১৫০-১৬০ হবে না এটা কখনও মনে হয়নি। যখনই মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখনই তারা উইকেট থ্রো করেছে। সিনিয়র প্লেয়ারদের আউট দেখে মনে হয়েছে তাদের কোনও সমস্যা আছে। আমি যে দলকে চিনি সেটা এই দল নয়।’

প্রথম ম্যাচে সাকিবের অধিনায়কত্ব হতাশ করেছিল নাজমুল হাসানকে। মাহমুদউল্লাহ আর মোসাদ্দেক ভালো বোলিং করলেও ‘ডেথ’ ওভারে আবু জায়েদ রাহী, রুবেল হোসেন আর আবুল হাসান রাজুর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন সাকিব। শেষ তিন ওভারে তিন পেসারের ওপর ঝড় বইয়ে ৫২ রান তুলে নেয় আফগানরা। বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বিসিবি প্রধান, ‘সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। আমিও তাকে প্রথম ম্যাচের পর প্রশ্ন করেছি। আর কালকের ম্যাচ দেখে আমার কথা বলতেই ইচ্ছে করেনি।’