আজকের কথা কখনও ভুলবেন না সালমা

সতীর্থদের সঙ্গে সালমার (সামনে বাঁয়ে) শিরোপার উল্লাস

অবিশ্বাস্য সাফল্যে উদ্ভাসিত বাংলাদেশ। মেয়েদের নৈপুণ্যে কুয়ালালামপুরে উড়ছে লাল-সবুজ পতাকা। অথচ হতোদ্যম একটা দল নিয়েই মালয়েশিয়ার রাজধানীতে পা রেখেছিলেন সালমা খাতুন এবং তার সতীর্থরা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টানা আট ম্যাচ হেরে দেশে ফেরা। এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে। কিন্তু শেষটা অসাধারণ অর্জনে সমৃদ্ধ।

একদিক দিয়ে সালমা-রুমানাদের দল পেছনে ফেলে দিয়েছে মাশরাফি-সাকিব-তামিমদের। ছেলেরা দুবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। কিন্তু মেয়েরা প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা জয়ে উচ্ছ্বসিত।

শেষ বলে জাহানারার ব্যাটে জয়সূচক রান আসার সময় ক্রিজেই ছিলেন অধিনায়ক সালমা। মাঠের ভেতরে থেকে এমন ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী হয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বললেন, ‘প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জয় আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। আমরা কতটা খুশি তা বলে বোঝাতে পারবো না। আজকের এই দিনে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। দিনটির কথা কখনও ভুলতে পারবো না।’

ভারতের বিপক্ষে লিগ পর্বের জয় ফাইনালে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল সালমাদের। সেই ম্যাচে ১৪২ রান তাড়া করে সাত উইকেটে জয়ের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ওই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল, ফাইনালে জিততে অনুপ্রাণিত করেছিল। আজ সাফল্যের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম আমরা। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না, কিন্তু ওদের হারানোর অনেক কিছু ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা অনেক কিছু পেয়েছি।’

মালয়েশিয়ায় কয়েক লাখ বাংলাদেশির বসবাস। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন পুরো টুর্নামেন্টে অনুপ্রাণিত করেছে মেয়েদের। ফাইনালে ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ চিৎকার করে দলকে উজ্জীবিত করেছেন প্রবাসীরা। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর কেউ কেউ তো আবেগ সামলাতে পারেননি, ঢুকে পড়েছেন মাঠের ভেতরে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজয়ী ক্রিকেটারদের। প্রবাসীদের এমন ভালোবাসায় সালমা আবেগাপ্লুত, ‘মাঠে সাপোর্টাররা এলে অনেক ভালো লাগে, তাদের উৎসাহ আমাদের ভালো খেলতে সাহায্য করে। আজকে মাঠে আমাদের অনেক সাপোর্টার ছিল। যারা কষ্ট করে আমাদের খেলা দেখতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ।’