দুই ওপেনারের ব্যাটে ৯৫ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আর ৮৮ রান তুলতে ৮ উইকেট হারায় তারা। অন্যদিকে ২ রানে প্রথম ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান ৪ বল বাকি থাকতে ছিনিয়ে নিয়েছে ৬ উইকেটের জয়।
টানা নবম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে ১৮৩ রানে বেধে দেয় পাকিস্তান। তারপর ১৯.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করেছে শীর্ষ র্যাংকিংয়ের দলটি। এর আগে ২০১২ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ১৭৫ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তানিরা।
হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ ও ডি’আর্চি শর্ট দারুণ শুরু এনে দেন। দলের শতরান হওয়ার আগে শাদাব খানের শিকার হন ফিঞ্চ। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হন অসি অধিনায়ক। ২৭ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া আরেক ওপেনার শর্ট চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। ৫৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৬ রানের সেরা ইনিংস খেলেন তিনি। আর কেবল মার্কাস স্টোইনিস (১২) ও ট্রাভিস হেড (১৯) দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ আমির ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। দুটি পান শাদাব।
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে ওই ধাক্কা সামলান ফখর জামান। সরফরাজ ২৮ রানে আউট হলে এই ওপেনারের দাপুটে ইনিংস ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৪৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ে ৯১ রান করেন ফখর। ১৬তম ওভারের শেষ বলে দলের স্কোরবোর্ড ১৫৪ রান রেখে রিচার্ডসনের শিকার হন তিনি। তার আগে শোয়েব মালিককে নিয়ে ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন।
ফখর বিদায় নেওয়ার পর মালিক ও আসিফ আলীর ৩৩ রানের অপরাজিত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। ৩৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মালিক, আসিফ খেলছিলেন ১৭ রানে।
২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সফল বোলার ম্যাক্সওয়েল। সিরিজ ও ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছেন ফখর। ক্রিকইনফো