এবার বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে সৌম্যরা অলআউট ১৬৭ রানে

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের টস (ছবি: বিসিবি)ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় দলকে। বাংলাদেশের ‘এ’ দলেরও একই অবস্থা। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছেন সৌম্য-মিঠুনরা।

সিলেটে ১৬৭ রানে স্বাগতিকদের অলআউট করে শ্রীলঙ্কা দিনশেষে ৭৮ রান করেছে তিন উইকেট হারিয়ে। 

যদিও লঙ্কান ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ চারদিনের অনানুষ্ঠানিক ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিকেই চোখ ছিল সবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে দলে যোগ দেওয়ার আগে নিজেকে পরখ করে নেওয়ার সুযোগ ছিল বাঁহাতি পেসারের। সময় খুব একটা পাননি, দিন শেষ হওয়ার আগে ৪.৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন একটি উইকেট। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং নিয়ে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি। শেহান জয়াসুরিয়া, প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও পুষ্পাকুমারার বোলিং তোপে পড়ে দুইশ করার আগেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তিনজনের প্রত্যেকেই নেন ৩টি করে উইকেট।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো, যদি অষ্টম উইকেটে তরুণ নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সানজামুল হক ৫৪ রানের জুটি না গড়তেন! গুরুত্বপূর্ণ এই জুটিতে বাংলাদেশ ১৬৭ রানের স্কোর জমা করতে পেরেছে। সানজামুল করেন ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা ৪১ রান ও নাঈমের ব্যাটে আসে ২২ রান।

প্রথম দিন সকালে ওপেনিংয়ে নামা সাদমান ইসলাম ও সৌম্য সরকার দুইজনই ফিরে যান দলীয় ৩৭ রানে। আগের মতো শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য, ফিরেছেন ১৪ রানের ইনিংস খেলে।

তুষার ইমরানের বদলে জায়গা পাওয়া মিজানুর রহমান সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯টি সেঞ্চুরি করা মিজানুর ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৪ রানে।

৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করে খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে তোলেন সাইফ হাসান ও জাকির হাসান জুটি। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ রানের জুটি করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। সাইফের (৭) বিদায়ের পর জাকির হাসান ৪২ রানে ফিরে যান। এটাই বাংলাদেশ দলের সেরা ইনিংস। ৬৬ বলের ইনিংসে জাকির মারেন ৫ চার ও ১ ছয়।

১০৫ রানে ৭ উইকেট হারনো বাংলাদেশকে আরও কিছু রান এনে দেয় অষ্টম উইকেট জুটি।

বাংলাদেশকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা দিনশেষে ২১.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান করেছে। আলোকস্বল্পতায় দিনের পুরো খেলা হতে পারেনি। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়া শেহান ৫৩ রানে অপরাজিত।

মোস্তাফিজের সমান একটি করে উইকেট নেন সৌম্য ও নাঈম।