প্রত্যাবর্তন ম্যাচে মোস্তাফিজের ৩ উইকেট

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল করছেন মোস্তাফিজপ্রায় দুই মাস পর ক্রিকেটে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানের ভালোই পারফরম্যান্স। সিলেটে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে শেষ আনঅফিশিয়াল টেস্টের প্রথম ইনিংসে কাটার-মাস্টারের শিকার ৩ উইকেট।

মোস্তাফিজের পাশাপাশি বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামও জ্বলে উঠে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাই লঙ্কানরা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ১৬৭ রানের জবাবে ৩১২ রানে থেমে ১৪৫ রানের লিড নিয়েছে অতিথিরা। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর এক উইকেটে ৫৭ রান। অর্থাৎ ৯ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৮৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ ড্র হলেও শেষ চার দিনের ম্যাচে ফল আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা।

অনেক দিন খেলার মধ্যে ছিলেন না মোস্তাফিজ। মে মাসে আইপিএল খেলে পায়ের চোট নিয়ে ফেরার পর একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি বাঁহাতি পেসারের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে ছিলেন না, বড় দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও খেলেননি। আসলে বল করার মতো ফিটনেসই ছিল না তার।

১৩ জুলাই ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথে রওনা হওয়ার কথা মোস্তাফিজের। দীর্ঘ দিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তাই ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিতে ‘এ’ দলে নেওয়া হয়েছে কাটার-মাস্টারকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার। মঙ্গলবার ৪.৪ ওভার বোলিং করে নিয়েছিলেন একটি উইকেট। বুধবার ৬.২ ওভার বোলিং করে তার শিকার দুই উইকেট। বোলিং ফিগারও যথেষ্ট ভালো, ১১-১-৪৪-৩। দিনের সফলতম বোলার অবশ্য সানজামুল। তবে মোস্তাফিজের চেয়ে একটি উইকেট বেশি পেলেও তার খরচ অনেক বেশি, ১০৪ রান।

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে তিন শ’র ওপরে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় অবদান শেহান জয়াসুরিয়ার। এই বাঁহাতি ওপেনারের ১৪২ রানের ইনিংসটি ছিল আক্রমণাত্মক। ১৫৫ বলের ইনিংসে চার ১৫টি, আর ছক্কা চারটি। অতিথিদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান শাম্মু আশানের। ৭৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর জয়াসুরিয়া-আশানের ১১৮ রানের জুটি ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে লঙ্কানদের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার সাদমান ইসলাম (১৯) ব্যর্থ হলেও সৌম্য সরকার ও মিজানুর রহমান দলের আর ক্ষতি হতে দেননি। দিনশেষে সৌম্য ২৪ এবং মিজানুর ১৩ রানে অপরাজিত।