সাকিবের আক্ষেপ, তামিমের উদযাপন

272398দলীয় ১ রানে এনামুল হকের বিদায়ের পর আরও একটি ব্যাটিং বিপর্যয় চোখ রাঙাচ্ছিল। কিন্তু ক্যারিবিয়ান পেসারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুই বন্ধু সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে যে কোনও উইকেটে তারা করেছেন রেকর্ড জুটি। তৃতীয় উইকেটে আগের করা ১৮৩ রানের রেকর্ড ভেঙে সাকিব-তামিম দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে তোলেন ২০৭ রানের জুটি; যা দ্বিতীয় উইকেটেও রেকর্ড।

রবিবার তাদের রেকর্ডের ম্যাচের পুরো সময়টা হতাশায় কেটেছে ক্যারবিয়ান বোলারদের। সাকিব দুই নম্বরে নামলেও রান তোলার দিক দিয়ে তামিমের চেয়ে দ্রুতই ছিলেন। যদিও মাঝে মধ্যেই দুজনের রান তোলার গতি সমানই ছিল। দুজনই একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনের স্কোর তখন ৯৭। দেবেন্দ্র বিশুর ঘূর্ণি বলটি সুইপ করতে গিয়ে শিমরন হেটমায়ারের হাতে তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। আর তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিবের প্রথম সেঞ্চুরি করার সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ৯৭ রানের ইনিংসটি খেলতে সাকিব ৬ চারে খেলেছেন ১২১ বল।

সাকিবের সেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হলেও ভুল করেননি তামিম। পরের ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। আলজারি জোসেফ অফস্টাম্পের বাইরে করা বলটি অফসাইডে ঠেলে দিয়েই এক রান তুলে নেন তামিম। আর তাতেই করেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। ধীরভাবে শুরু করলে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার হিটিংয়ে রান তুলতে থাকেন এই ওপেনার। উইকেট বেশ স্লো হওয়ায় শুরুতে রান তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।

দারুণ শারীরিক ভঙ্গি ও সাহসী ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তামিমের ব্যাট জ্বলে উঠল। ১৪৬ বলে তামিম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন, যা কোনও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি বল খেলে সেঞ্চুরি।

শেষ দুই ওভারে তামিম ঝড়ো ব্যাটিং করে দ্রুতই ১৩০ রানে পৌঁছে যান। ১৬০ বলে ১০টি চার ও ৩ ছয়ের সাহায্যে তিনি তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে সাতবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন তামিম। যদিও সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকতে পেরেছিলেন কেবল দুইবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের সেরা এই ওপেনার।

তামিম সবশেষ তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ রানের ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। এরপর বেশ কয়েকটি ইনিংসে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি এই ওপেনার।

তামিমের দশ সেঞ্চুরির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুটি করে সেঞ্চুরি ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরি ছাড়া বাকি তিনটি সেঞ্চুরি এসেছে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।