টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে সাকিব-তামিমের উন্নতি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তামিম ও সাকিবওয়ানডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ জয়ের আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি মুর্তজার নেতৃত্বে একদিনের ক্রিকেটে ২-১ এ সিরিজ জিতে র‌্যাংকিংয়েও অর্জন ছিল খেলোয়াড়দের। একই ব্যবধানে ২০ ওভারের সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে সেখানেও র‌্যাংকিংয়ে সাফল্যের মুখ দেখলেন তারা।

২০১৫ সালের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাতে দারুণ অবদান রেখেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বল হাতে চমৎকার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এদের সবাই র‌্যাংকিংয়ে এগিয়েছেন।

ব্যাট হাতে এই সিরিজ জয়ের নায়ক ছিলেন সাকিব ও তামিম। তিন ম্যাচে সাকিব একটি হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ১০৩ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ রান করেন অধিনায়ক। ব্যাটসম্যান র‌্যাংকিংয়ে তিনি ৮ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৫ নম্বরে।

সেন্ট কিটসে প্রথম ম্যাচে শুরুতেই উইকেট হারান তামিম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জেতাতে ৭৪ রান করেন এবং হন ম্যাচসেরা। তিন ম্যাচে তার রান ৯৫। এতে করে ৬ ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। র‌্যাংকিংয়ে এখন তিনি ৩৯ নম্বর ব্যাটসম্যান।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দুজনের কেউ বড় রান পাননি। কিন্তু জ্বলে ওঠেন লিটন। মাত্র ৩২ বলে ৬১ রান করে বাংলাদেশের ১৯ রানের জয়ে ম্যাচ সেরা হন এই ওপেনার। র‌্যাংকিংয়ে তিনি বড় লাফ দিয়েছেন। ২২ ধাপ এগিয়ে লিটনের অবস্থান ৭১ নম্বরে। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ৩৫১ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ তিন ম্যাচে বড় কোনও স্কোর না করলেও খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। তিন ম্যাচে ৩৫, ১৩*, ৩২* রান ছিল তার। এতে তিন ধাপ এগিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে যৌথভাবে ৩৬ নম্বর ব্যাটসম্যান তিনি।

বোলার র‌্যাংকিংয়ে সাকিব উন্নতি করেছেন। ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ১১ নম্বরে। ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ১৬ নম্বর বোলার মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ১৪ ধাপ এগিয়েছেন নাজমুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনার বোলারদের তালিকায় ৭০তম। আইসিসি