২০১৩ সালে বিপিএলে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে সোমবার। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে গত দুটি বছর খেলেছেন তিনি। সেখানে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন, বিশেষ করে লিস্ট ‘এ’তে। এতে করে নিষেধাজ্ঞা শেষেই জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন আশরাফুল। কিন্তু দেশের নির্বাচক কমিটির প্রধান জানিয়ে রাখলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্তত আরও এক মৌসুম ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে দেশের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানকে।
লিস্ট ‘এ’তে দারুণ করলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আশরাফুলের পারফরম্যান্স গড়পড়তার নিচে। ১৩ ম্যাচে ২১.৮৫ গড়ে রান করেছেন, সেঞ্চুরি মাত্র একটি। জাতীয় দলে তার ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু? নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে এমন প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে। রবিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার উত্তর মিলল মিনহাজুলের কাছ থেকে, ‘লম্বা সময় ধরে সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেনি। তাই এখন তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাটে ভালো খেলতে হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তার ফিটনেসের প্রমাণও দিতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো এক বছর পর আমরা তার অবস্থা জানতে পারবো।’
৩০ বছরের উপরের ক্রিকেটারদের উপেক্ষা করার চল রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আশরাফুলের বয়স এখন ৩৪ বছর। তাতে কী! মিনহাজুল জানালেন, বয়স কোনও ব্যাপার নয়। ফর্মে থাকলে ও ফিটনেস ঠিক রাখলে যে কেউ জাতীয় দলে ঢুকতে পারবেন বললেন সাবেক এই অধিনায়ক।
মিনহাজুল বলেছেন, ‘কেউ যদি মাঠে পারফর্ম করে তাহলে বয়স কখনও বাধা নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারফর্ম করার মতো ফিটনেস যে খেলোয়াড়ের আছে সে সবসময় দলে ঢোকার যোগ্য। কিন্তু আশরাফুলের ক্ষেত্রে বড় একটা ফাঁক তৈরি হয়েছে এবং বয়স এখানে বাধা হতে পারে। কিন্তু সে আমাদের দেশের জন্য ভালো ক্রিকেট খেলেছে এবং আবারও ভালো খেলার সামর্থ্য সে অর্জন করতে পারে। এখনই তার জাতীয় দলে ফেরা নিশ্চিত করতে পারছি না আমরা। সবার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে প্রমাণ দিতে হবে।’