না ফেরার দেশে অজিত ওয়াদেকার

তরুণ অজিত ওয়াদেকারনানা অসুখের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অজিত ওয়াদেকার। ৭৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটে বিভিন্ন সময়ে নানা দায়িত্বে থাকা অজিত সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।

১৯৬৬ সালে মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয় অজিতের। প্রায় ৮ বছরের ক্যারিয়ারে এই বাঁহাতি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩৭ টেস্ট। ৩১.০৭ গড়ে করেন ২ হাজার ১১৩ রান। হাফসেঞ্চুরি ১৪টি হলেও সেঞ্চুরি মাত্র একটি, যেটা এনে দিয়েছিল ঐতিহাসিক জয়।

১৯৬৮ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটনে ১৪৩ রান করেছিলেন অজিত। দেশের বাইরে ভারতকে প্রথম সিরিজ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তার ওই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

মনসুর আলী খান পাতৌদির নেতৃত্বে ওই সময় ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে পরাশক্তি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হুট করে অধিনায়কত্ব পেয়ে যান অজিত। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাতৌদিকে বাইরে রাখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর নির্বাচক সভাপতি বিজয় মার্চেন্টের কাস্টিং ভোটে নেতৃত্বে দেওয়া হয় অজিতকে। এবারও ইতিহাস গড়েন তিনি। ১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে সিরিজ জেতে ভারত।

ইংল্যান্ড জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে সবার মন কেড়েছিলেন অজিতপরের বছর ইংল্যান্ডকে স্বাগত জানিয়ে আরেকটি সিরিজ জয় করে অজিতের ভারত। কিন্তু ১৯৭৪ সালে ফিরতি সফরে ইংল্যান্ডে ৩-০ তে সিরিজ হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে। সফর থেকে ফিরেই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।

তার কয়েক বছর পর ১৯৯২ সালে ভারতের প্রথম অফিসিয়াল প্রধান কোচ নির্বাচিত হন অজিত। চার বছর এই দায়িত্বে থেকেও দারুণ সাফল্য পান তিনি। ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার পাল্টে দেন অজিত। প্রথমবার ওয়ানডেতে ওপেনিং করেন শচীন, তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায়ের পর কোচের দায়িত্বে ইস্তফা দেন অজিত। পরে দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচক কমিটির সভাপতি হিসেবেও।

ভারতের এই কীর্তিমান অধিনায়ককে ২০১১ সালে সিকে নাইডু আজীবন সম্মাননা পদকে ভূষিত করে বিসিসিআই। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ক্রিকইনফো