ব্রাত্য আমিনের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ‘বাংলার বাঘিনীরা’ সঞ্চালনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি। ইদানীং টেলিভিশনের পর্দায় জেসি নিয়মিত। তবে সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে অনুষ্ঠান বলেই তিনি ভীষণ রোমাঞ্চিত। বাংলা ট্রিবিউনকে জেসি বলেছেন, ‘অনুষ্ঠানটি নিয়ে শুরু থেকেই টেনশনে ছিলাম। লাইভ উপস্থাপনা করলেও আগে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়নি। তবে নিজে ক্রিকেটার হওয়ায় খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি, গল্প করতে করতেই প্রোগ্রামটা শেষ হয়ে গেছে। ওদের সম্পর্কে সব কিছু জানার কারণে ভেতরের মানুষটাকে বের করতে পেরেছি।’
গান, খেলা, র্যাপিড ফায়ার, অভিনয় তো ছিলই, ক্রিকেটারদের জীবনের মজার মজার ঘটনাও উঠে এসেছে কথোপকথনে। অনুষ্ঠানে ছিল কয়েকটি ভাগ, যেখানে তথ্যের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের দিয়ে মজার কিছু করানোর চেষ্টা হয়েছে। জেসি জানিয়েছেন, ‘সবচেয়ে মজার সেগমেন্ট ছিল বেশ কয়েকজন ভক্তের অংশগ্রহণ। যেখানে নিজ ভক্তের সঙ্গে মেয়েরা বিশেষ একটি সেগমেন্টে অংশ নিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ‘ক্রিকেট’ও খেলেছেন এশিয়া কাপ বিজয়ীরা। মঞ্চেই ওপেনার আয়েশা রহমান শুকতারাকে বোলিং করেন পেসার জাহানারা আলম। এমন ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে জাহানারা বলেছেন, ‘আমরা ফরম্যাল ড্রেসে ছিলাম। ফরম্যাল ড্রেসেও আমরা কেমন খেলি, তারই যেন পরীক্ষা হয়েছে। এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা।’
দুষ্টুমিতে দলকে সব সময় মাতিয়ে রাখেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অনুষ্ঠানেও সারাক্ষণ খুনসুটি করা জ্যোতি বললেন, ‘আমি সব সময় দুষ্টুমি করি, অনুষ্ঠানেও সবার সঙ্গে দুষ্টুমি-ঠাট্টা করে কাটিয়েছি। আমি গান করেছি, অভিনয়ও করেছি। তবে অভিনয় করে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ সেটা বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
‘ক্রিকেট মাঠ নাকি টিভি ক্যামেরা কোনটা সামলানো বেশি কঠিন?’ এমন প্রশ্নে রুমানা আহমেদের উত্তর, ‘দুটো জিনিস দুই ধরনের কঠিন। অনুষ্ঠানটা করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অন্য ধরনের রোমাঞ্চ কাজ করেছে। অনুষ্ঠানটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’