রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৭.১ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় হংকং। জবাবে ২৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২০ রান করে পাকিস্তান।
তীব্র গরমে পাকিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি টস জেতা হংকং অধিনায়ক আংশুমান রাঠকে। মোহাম্মদ আমিরের সুইং আর উসমান খানের বাউন্স ঠিক সামলে নিয়েছিল দুই ওপেনার।
কিন্তু পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে পাকিস্তানের ফিল্ডিংকে অবহেলা করায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। গাছাড়া মেজাজে রান নিতে গিয়ে ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই শাদাব খানের থ্রোতে রান আউট হন নিজাকাত খান (১৩)।
ফাহিম আশরাফ তার প্রথম ওভারে নেন উইকেট। আংশুমানকে (১৯) পেছনে সরফরাজ খানের ক্যাচ বানান তিনি। কিছুক্ষণ পর ক্রিস্টোফার কার্টারকে সাজঘরে পাঠান হাসান আলী, তাতে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় হংকং।
শাদাব বল হাতে এসে প্রথম ওভারেই হংকংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা দেন। ৩ বলের ব্যবধানে বাবর হায়াৎ ও এহসান খান ক্রিজ ছাড়েন। ওই জোড়া আঘাতের ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি হংকং।
ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ রানের জুটিতে বিপর্যস্ত ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন আইজাজ খান ও কিঞ্চিৎ শাহ। কিন্তু উসমান তার এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে বিরাট ধস নামান হংকংয়ের ব্যাটিংয়ে। আইজাজ ইনিংস সেরা ২৭ রান করেন। ২৬ রান আসে কিঞ্চিতের ব্যাটে।
লক্ষ্যে নেমে নবম ওভারের প্রথম বলে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয় এহসানের বলে। ২৪ রান করে আউট হন ফখর জামান।
ইমাম উল হকের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়ার পথে ওয়ানডেতে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাবর আজম। ৪৫তম ইনিংসে এই কীর্তি গড়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জহির আব্বাস ও ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনের পাশে নাম লিখেন তিনি।
জয়ের জন্য ২৪ রান দূরে থাকতে এহসানের দ্বিতীয় শিকার হন আজম। ৩৬ বলে ৩৩ রানে উইকেটরক্ষক স্কট ম্যাককেচনির গ্লোভসে ধরা পড়েন তিনি। শোয়েব মালিককে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ইমাম। ৬৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। তিনটি চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল ইমামের ইনিংস। মালিকের বাউন্ডারিতে জয়সূচক রান পায় পাকিস্তান।