হতাশা নিয়ে তামিমের ফেরা

তামিমকব্জির চোটে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে তামিম ইকবালের। দলের সঙ্গে সবার পরে যোগ দিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে প্রথম ম্যাচের পরই! শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর জানালেন, কতটা হতাশা নিয়ে তিনি ফিরেছেন দেশে।

ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। দুবাইয়ে যোগ দিয়েছেন দুই দিন পর। আঙুলের সমস্যা থাকায় প্রথম ম্যাচে তার খেলা নিয়েও ছিল সংশয়। যদিও মাঠে নামেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচেই সুরঙ্গা লাকমালের বলে কব্জিতে আঘাত পেয়ে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে তার।

রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার মাঠে ফিরে আসার দৃশ্যটা ইতিহাস হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। এক হাতে ব্যাট করার ঘটনা তাকে প্রশংসার বৃষ্টিতে ভেজাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে নিজের মনকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না তামিম। ফর্মের তুঙ্গে থেকে এভাবে একটি টুর্নামেন্ট থেকে ফিরতে হবে, ভাবতেই পারছেন না। হতাশায় ছেয়ে গেছে তার মন।

বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখেমুখে ছিল বিষণ্নতার ছাপ, ‘সত্যি বলতে, এশিয়া কাপে আমার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। আর প্রথম ম্যাচের পর টুর্নামেন্টের মাঝপথে এভাবে (দেশে) ফিরে আসাটা মোটেও ভালো লাগার বিষয় নয়। আমি খুব হতাশ।’ যদিও পরের কথায় নিজেই সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করলেন তিনি, ‘তবে এমন একটা চোট, অনেক সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এখন আমার লক্ষ্য হলো যতটা সম্ভব দ্রুত মাঠে ফেরার।’

টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, তামিমের মাঠে ফিরতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে। তাতে সামনের জিম্বাবুয়ে সিরিজ মিস করার সম্ভাবনাও আছে এই ওপেনারের। দারুণ সময় কাটানো তামিম কিছুতেই মানতে পারছেন না দলের বাইরে থাকাটা। কেননা এশিয়া কাপ ঘিরে তার আশাটা ছিল অনেক বেশি, ‘যখন আপনি ভালো ফর্মে থাকবেন, তখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই চাইবেন যতটা বেশি খেলা যায়। এই কারণে আমার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। তবে এখন যদি শুধু এটাই ভাবতে থাকি, তাহলে তা আমার জন্য ভালো কিছু হবে না।’

তামিমের লক্ষ্য তাই, ‘সামনে দিকে তাকাতে হবে। আর দ্রুত ফিরতে ডাক্তার আমাকে যে নির্দেশনা দেবে, সেটা অনুসরণ করতে হবে।’